Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৫, ২০২৫

৮ বছর পর ‘বড় ছেলে’র রেকর্ড ভাঙল ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’

প্রায় আট বছর ধরে ইউটিউবে ভিউতে শীর্ষে ছিল জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত ‘বড় ছেলে’ নাটকটি। দর্শক নন্দিত গল্পের কারণে নাটকটির ভিউ বেড়েই চলছিলো।  অবশেষে বড় ছেলের রেকর্ড ভেঙে দিল ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ নাটকটি। বাংলা নাটকের ভিউয়ে এটি এখন শীর্ষে রয়েছে এটি।

‘বড় ছেলে’র ভিউ ৫ কোটি ৪১ লাখ। সেখানে ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ নাটকটির ভিউ ২ লাখ বেশি, ৫ কোটি ৪৩ লাখ। গত বছরের এপ্রিলে নাটকটি প্রচারিত হয়। মাত্র এক বছরেই নাটকটি ভিউয়ে শীর্ষে চলে আসে। নাটকে জুটি হিসেবে আছে নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি।

খবরটি গত ৭ এপ্রিল রাতেই জেনেছেন হিমি। তিনি মনে করেন, এটা দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল। হিমির ভাষ্যে, ‘একটি কাজের পেছনে অনেক কষ্ট থাকে। দর্শক সেটা পছন্দ করলে সার্থক মনে হয়। তবে একটি বিষয় খারাপ লাগছে, সেটা হচ্ছে তুলনা। অনেকেই লিখছেন, নাটকটি দিয়ে এ ওকে হারিয়ে দিল। আমার কাছে তুলনা করাটা ভালো লাগে না। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষ ভিউয়ে ২ নম্বরে ছিলাম, এখন শীর্ষে, এই যা। বাংলা নাটকের শীর্ষ ভিউয়ে রয়েছে এটাই বলা প্রাসঙ্গিক। ১ নম্বরে আছি, এটা বলাটাও আমার পছন্দ নয়। কারণ, অনেক নাটক রয়েছে, যেগুলোর ভিউ এখন কম হলেও দর্শকপ্রিয়। যা-ই হোক, এটা আমাকে ভালো কাজে অনুপ্রেরণা দেবে।’

শ্বশুরবাড়িতে ঈদকেন্দ্রিক নানা ঘটনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ নাটকের গল্প। বিয়ের পর দূরে থাকলেও এবার শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে এসে ভিন্ন এক পরিস্থিতির মুখে পড়ে জামাই। দেখা যায়, শ্বশুর কিপটে। যে ঈদে ফিতরা-জাকাত ইত্যাদি দিতে চায় না। সেগুলো নিয়ে সোচ্চার হয় জামাই। নাটকে বার্তা দেওয়া হলেও সেটা কমেডির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এ জন্যই এটি দর্শক পছন্দ করেছেন বলে জানালেন নাটকের পরিচালক মহিন খান।

মহিন বলেন, ‘নাটকটি প্রচারের পর থেকেই দীর্ঘ সময় ট্রেন্ডিংয়ে ছিল। কিন্তু এটা যে কখনো ভিউর দিক থেকে শীর্ষ বাংলা নাটকের একটা হবে, এটা কল্পনাই করিনি। অল্প সময়ে এত দর্শক নাটকটি দেখায় তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা’।

মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত ‘বড় ছেলে’ নাটকে দেখানো হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে রাশেদ ও ধনী পরিবারের মেয়ে রিয়ার প্রেমের গল্প। গল্পে দেখা যায়, রাশেদের বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। সে অবসরে যাচ্ছে। তখন পরিবারের হাল ধরে বড় ছেলে। কিন্তু কোনো চাকরিই সে খুঁজে পায় না। অন্যদিকে রিয়াকে পরিবার থেকে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বাস্তবতার কাছে হেরে যায় ভালোবাসা। নাটকটি মূলত দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের এক সুন্দর উপস্থাপন। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর টানাপোড়েনের গল্প উঠে এসেছে একটি প্রেমের গল্পের মাধ্যমে।

Share this article
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Read next

এরপর থেকে বাংলাদেশ এভাবেই চলবে- সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকী

আজ বাংলা বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ বাংলা নববর্ষ । এবারের উৎসবে বেশ আনন্দ উদ্দীপনা নিয়ে পালিত হচ্ছে দিনটি। দিনটি…
0
Share