১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘টিকিট’। ইতিমধ্যে পোস্টার, ফোরটেস্ট ও ট্রেইলার দর্শক আলোচিত।
মুক্তির তারিখ প্রকাশ্যে আসার পাশাপাশি ‘টিকিট’ সিরিজ নিয়ে জানা গেলো চমকপ্রদ যত সব ঘটনা।
১। পরিচালক যখন লেখকের বড় ভক্ত
২০১৮ সাল! তখনও ভিকি জাহেদ আজকের মতো বিখ্যাত পরিচালক হয়ে যাননি। একটা শর্ট ফিল্ম বানাচ্ছিলেন যার প্রধান চরিত্র ছেলেটা লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন-এর বিশাল ফ্যান! এই ফিল্ম বানানোর সবচেয়ে বড় কারণ হলো- ভিকি জাহেদ নিজেও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন-এর ফ্যান।
এক লাফ দিয়ে আসা যাক ২০২৪ সালে। ভিকি জাহেদ এখন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক। আর এখনো মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন-এর ভক্ত। ভাগ্যক্রমে এক হয়েছেন দুইজন। আর প্রিয় লেখকের গল্পে চরকি-র জন্য ভিকি নির্মাণ করছেন নতুন একটি সিরিজ ‘টিকিট’। প্রিয় লেখকের গল্প দর্শকের সামনে আনার উত্তেজনায় শুটিং-এর আগে নাকি তার ঘুর হারাম হওয়ার অবস্থা।
২। ‘টিকিট’-এর শুটিংয়ে জ্বীন-ভূতের আনাগোনা
শুটিংয়ে ঘটেছে একটি মজার ঘটনা। শুটিংয়ের বাস তখন মাঝ নদীতে ফেরির উপর। ঘড়ির কাটায় সময় প্রায় রাত ৩টা। হঠাৎ করে চিৎকার চেচামেচি। কী হয়েছে? কী হয়েছে? ফেরির উপর একটা শ্যুটিং ইউনিটের এক তরুণীকে নাকি জ্বীন ধরেছে! ফেরির দেয়ালে উলটা হয়ে ঝুলে ছিলেন সেই তরুণী। প্রায় ১০ জন মানুষ একসাথে সেই মেয়েকে ধরে রাখতে পারছে না। তার এক ধাক্কায় এই পাশ থেকে ওই পাশে উড়ে যাচ্ছিল সবাই। অদ্ভুত এই ঘটনার শিকার হয়েছিল পুরো ‘টিকিট’ টিম।
৩। সিয়াম-সাফা-মনোজ ব্যাকগ্রাউন্ড আর্টিস্ট
সিয়াম আহমেদ, সাফা কবির ও মনোজ কুমার প্রামাণিক এর মতো বড় অভিনেতারা নাকি ছিলেন ব্যাকগ্রাউন্ড আর্টিস্ট। আসলে বাসের শুট করার সময় ক্যামেরা অন করলেই পুরো বাসের সব সিট দেখা যাচ্ছিলো। তাই পুরো শুটিং-এ সবাইকে যার যার সিটে বসে থাকতে হয়েছে। অনেক সময় সাফা, মনোজ, সিয়ামকেও পেছনে ব্যাকগ্রাউন্ড আর্টিস্ট-এর মতো বসে থাকতে হয়েছে।
৪। সড়ক দুর্ঘটনা
ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েছিল পুরো ‘টিকিট’ টিম। ১৮ অক্টোবর শুটিংয়ে শট চলার সময় যে বাসে সব শিল্পীরা ছিলেন সেই বাস গিয়ে শুটিংয়েরই একটা পিক-আপ এ ধাক্কা দেয়। কারো কোনো তেমন ক্ষয়-ক্ষতি না হলেও সবাই ভয়ে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে ছিল।
৫। রাতের বেলা শুট
‘টিকিট’-এ অভিনয় শিল্পী ও কলাকুশলীসহ প্রায় ১৩০ জনের টিম কাজ করেছে। এতো বড় একটা টিম, এতো বড় আর্টিস্ট নিয়ে পুরো ১৫ দিনের শুট হয়েছে রাতের বেলা। যেটা ছিল পুরো টিমের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং।
৬। গ্রিন স্ক্রিন
সিরিজের প্রায় অর্ধেক অংশই গ্রিন স্ক্রিনে শুট করা হয়েছে। হলিউড, বলিউডে নিয়মিতভাবেই গ্রিন স্ক্রিনে শুট হলেও, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এমন শুটিং খুব একটা দেখা যায় না। তবে ‘টিকিট’ সিরিজের ক্ষেত্রে পরিচালক, সিনেমাটোগ্রাফার ও ভিএফএক্স আর্টিস্ট সবাই তাদের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন।
৭। সিয়ামের কন্টিনিউটি সাফার ক্যামেরায়
শুটিংয়ে সিয়ামের কন্টিনিউটি ঠিক রাখার জন্য ছবি তুলে রাখতেন সাফা। সেই হুট করে তোলা ছবি থেকেই হয়েছে ‘টিকিট’-এর প্রথম পোস্টার।
৮। দাদু চরিত্রে বাদল শহীদ
শুটিংয়ের সময় সবচেয়ে মজায় কেটেছে সিয়াম আর মনোজের। দুইজনকেই বসতে হতো বাসের শেষ সিটে এক দাদুর দুইপাশে। সেই দাদু চরিত্রে অভিনয় করা বাদল শহীদ নাকি আবার হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস থেকে উঠে আসা এক ক্যারেক্টার। ব্যাচেলর এই লোক তার গার্লফ্রেন্ডের নাম হাতে ট্যাটু করে ঘুরে বেড়ায়।
৯। শুটিংয়ের গল্পেই সিনেমা
‘টিকিট’-এর শুটিংয়ে এতো এতো ঘটনা ঘটেছে যে সেই গল্প দিয়েই এখন নাকি নতুন একটা সিনেমা বানিয়ে ফেলা যাবে। এমনই বলছিলেন টিকিট-এর অভিনয়শিল্পীরা।