সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি দাবী করেন যে আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নানারকম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি সিজেএফবি’র অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য দেন।
ন্যান্সি বলেন, ‘আমি যে এতো গুরুত্বপূর্ণ আমি জানতামই না, আমি ভাবতাম আমি কেবল মাত্র একজন শিল্পী যে গান গায়। কিন্তু আমার গুরুত্ব বুঝতে পারলাম ২০১৪ সালে, যখন আমার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে পুলিশি নির্যাতনসহ এমন কোনো অপমান ও হেনস্তা নেই যা আমাকে গত ১০ বছর ধরে করা হয়নি। সেখানে আমি লিখেছিলাম যে, বঙ্গবন্ধুর নাম করে কেবল একটি পক্ষকেই ভোট দিয়ে যাচ্ছি আমরা এবং আমার মনে হয় যারা ভোট দিয়ে যাচ্ছেন তাদের আবার ঘুরে দাঁড়ানো উচিত। আর তার কারণেই আমাকে দীর্ঘদিন ধরে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে।’ তিনি আরো যোগ করেন যে, দেশের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে গত আওয়ামী আমলে এবং নষ্ট করা হয়েছে প্রকৃত সত্য।
সাংবাদিকদের ভূমিকা উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা অনেক ক্ষমতাবান। আপনারা চাইলে অনেক সত্যি তুলে ধরা সম্ভব। আগামিতে যে সরকার আসবে তারা কোন দলের নয় বরং বাংলাদেশের সরকার। সুতারাং, আপনারা দেশের স্বার্থে সত্যতা তুলে ধরবেন, সত্যকে সত্য , মিথ্যাকে মিথ্যা লিখবেন’।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে রিয়াজ-পূর্ণিমা অভিনীত ‘হৃদয়ের কথা’ ছবির গানে কণ্ঠ দিয়ে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু হয় ন্যান্সির। গত ১৫ বছর ধরে সুরেলা কণ্ঠের জাদুতে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করছেন ন্যান্সি। স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১১ সালে জিতেছেন ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। এছাড়া ‘মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার-এ ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা সাতবার তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেছেন।
২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। তবে রাজনীতির মাঠে সেভাবে সক্রিয় নন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই গায়িকা।