ঠিক দুই বছরের আগে ২৯ জানুয়ারি শুটিং চলাকালে এক বিস্ফোরণে বদলে দিয়েছিল অভিনেত্রী শারমিন আঁখির জীবন। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দুই মাস। সেখানে ভর্তি থাকার কঠিন সময়ের স্মৃতিচারণ করলেন অভিনেত্রী।
অতীতের কথা স্মরণ করে গণমাধ্যমকে অভিনেত্রী আঁখি বলেন, ‘আমি অসুস্থ হওয়ার আজ ৭৩০তম দিন। বেঁচে ফেরার দুই বছর হলো। হাসপাতালের ৬০ দিন ছিল আমার জন্য একটা রণক্ষেত্র। ওই রণাঙ্গনের মুহূর্তগুলো কখনো শেয়ার করা হয়নি। এই প্রতিটি মুহূর্ত আমার বেস্ট গিফট অব লাইফ। আমার অনুপ্রেরণা, শক্তি, উৎসাহ আর উদ্দীপনা। জীবনকে নতুন করে জানতে শেখা। নিজেকে নতুন করে ভালোবাসতে শেখা। পৃথিবীকে নতুন চোখে দেখতে শেখা।’
অভিনেত্রী আরও যোগ করেন, ‘অসুস্থ হওয়ার পরে জীবনকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি। দোয়া তো দেখা যায় না, অনুভব করা যায়। আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ আমাকে খুব ভালোবাসেন আর অনুভব করি শুধু কাছের মানুষ না, দূর থেকে দূরের মানুষদেরও আমার জন্য মন উজাড় করা দোয়া ছিল। না হলে আজ আমার এই লেখার হাতটাও চলত না। পৃথিবীটা সত্যিই সুন্দর। আর তার চাইতেও সুন্দর পৃথিবীর মানুষগুলো। আমার সব সহকর্মী, বন্ধু, আত্মীয় পরিজন সবার জন্য অন্তরের অন্তস্তল থেকে ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি, সুস্থ আছি, সুন্দর আছি।’
সবশেষে শারমিন আঁখি বলেন, ‘এখন আগের চেয়ে অনেক সুস্থ। তবে চিকিৎসার পাশাপাশি নিয়ম মানতে হয়। রোদে একদমই যাওয়া নিষেধ। পুরো সেরে উঠতে আরেকটু সময় দরকার। পরে আবার কাজে ফিরতে চাই।’
দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন শারমিন আঁখি। ২০১০ সালে নার্গিস আক্তারের ‘ভালোবাসা কি করে ভালো হয়’ নাটকের অভিনয় বিশেষভাবে পরিচিতি পান তিনি। ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’দিয়ে সিনেমাতেও অভিষেক হয়েছিল তার। কিন্তু ২০২৩ সালে হঠাৎ শুটিংয়ে মেকআপ রুমের বিস্ফোরণে এই অভিনেত্রীর শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে যায়। তারপর দীর্ঘ দুই মাসের মতো তিনি ভর্তি ছিলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। পরবর্তী সময়েও বাসায় ফিরে তাকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হয়েছে।