অবশেষে সমাপ্ত হলো হলিউডের অভিনয়শিল্পীদের ধর্মঘট। ন্যায্য পারিশ্রমিকসহ বিভিন্ন দাবিতে দ্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড-আমেরিকান ফেডারেশন অব টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টরা ধর্মঘট ডাকেন জুলাই মাসে। এবার দীর্ঘ ১১৮ দিন পর হলিউডের স্টুডিওগুলোর সাথে সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছালেন শিল্পীরা।
মূলত সমঝোতা চুক্তিটির মাধ্যমে শিল্পীদের ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধি ও স্ট্রিমিং সার্ভিসের মুনাফার অংশ দেওয়ার ঘোষণা পাওয়া গেছে। ফলশ্রুতিতে, মে মাসের পর হলিউডে আবারও পুরোদমে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু হয়েছে।
জুলাই মাসের মাঝামাঝিতে শুরু হয়েছিল এই ধর্মঘট। এটি হলিউডের ইতিহাসে অভিনয়শিল্পীদের দীর্ঘতম কোনো ধর্মঘট।
তথ্যসূত্র অনুযায়ী, জুলাই মাসে অ্যাক্টরস গিল্ডের সদস্যরা বেতন বৃদ্ধি, স্ট্রিমিং সার্ভিসের মুনাফার অংশীদারত্ব, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বানানো ‘ডিজিটাল রেপ্লিকা’ থেকে সুরক্ষাসহ কয়েকটি দাবি দেখিয়ে কাজ ছাড়েন। যার ফলে প্রায় ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া।
এখন সমঝোতা চুক্তির কারণে অভিনয়শিল্পীদের ন্যূনতম বেতন বাড়ছে প্রায় ৭ শতাংশ। বেতনের সাথে আরও থাকছে পেনশন ও স্বাস্থ্যবীমার সুবিধাও। অ্যাক্টরস গিল্ড কর্তৃপক্ষ জানান, চুক্তিটির মূল্য ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।
প্রসঙ্গত, এর আগে মে মাসে বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছিল রাইটারস গিল্ড অব আমেরিকা। ফলে বেশ কিছু সিনেমা ও সিরিজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যায়। রাইটারদের ডাকা ধর্মঘটের দুই মাস পর অ্যাক্টরস গিল্ডের ধর্মঘটের কারণে অনিশ্চয়তাটি বেড়ে যায় আরও। এর কারণে পিছিয়ে যায় ‘মিশন: ইমপসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির ও ডিজনির নতুন ‘স্নো হোয়াইট’ সহ আরও অনেক চলচ্চিত্রের কাজ ও মুক্তির তারিখ। পরবর্তীতে রাইটারদের দাবি মেনে নিলে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে কাজে যোগ দেন তারা। এই তালিকায় ছিল টিভি ও সিনেমার সাড়ে ১১ হাজার লেখক।
আর এবার অভিনয়শিল্পীদের দাবি নিয়ে চুক্তি সমঝোতা হওয়ায় কাজে ফিরলেন অভিনয়শিল্পীরাও।