২০ গুণ বেশি আয় করেছেন আমির খান
প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা মুক্তির পর সবাই যেখানে ওটিটি প্ল্যাটফরমে সিনেমা মুক্তি দেন, সেখানে উলটো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমির খান। ওটিটি ছেড়ে পে-পার-ভিউ মডেলে ইউটিউবে মুক্তি দেন তার প্রযোজিত সিনেমা ‘সিতারে জামিন পার’। যেখানে ওটিটির তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বেশি আয় করেছেন আমির খান।
আর এস প্রসন্ন পরিচালিত সিনেমা ‘সিতারে জামিন পার’কে ওটিটি নয়, বরং ইউটিউবে পে-পার-ভিউ মডেলে মুক্তি দেন। মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি ইউটিউবে প্রতি ভিউ ১০০ রুপিতে দেখা যাচ্ছে। আর এখান থেকেই সিনেমাটি নাকি নরমাল ব্যবসার তুলনায় ২০ গুণ বেশি আয় করেছে।
২০০৯ সালে ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর সময়ও পে-পার-ভিউ ভাবনা তার মাথায় এসেছিল। তখন প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতায় সেটা হয়নি। তবে এখন ইউপিআই, ইন্টারনেট এবং ইউটিউবের সহজলভ্যতা এই মডেলকে কার্যকর করেছে।
আমির জানিয়েছেন, তিনি চাইলে সিনেমাটির স্ট্রিমিং রাইটস বিক্রি করে আগেভাগেই ১২৫ কোটি রুপি আয় করতে পারতেন।
কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থে ঝুঁকি নিয়ে ইউটিউব বেছে নিয়েছেন। এ জন্য তিনি তার প্রযোজনা অংশীদারের কাছ থেকে সিনেমাটি কিনেও নেন, যাতে ক্ষতির দায়ভার শুধুই তার হয়।
অভিনেতার ভাষ্যে, ‘ভারতে সব ওটিটি প্ল্যাটফরম মিলিয়েও তিন-চার কোটি মানুষের কাছে পৌঁছায়। অথচ ইউটিউব প্রতিদিন ৫০-৬০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছায়। তাই এই মডেল শুরু করাটা জরুরি ছিল।’
১২৫ কোটি
তিনি আরো বলেন, ইউটিউব নীতিমালা অনুযায়ী পে-পার-ভিউর নির্দিষ্ট ভিউ সংখ্যা প্রকাশ করা হয় না। তবে এখন পর্যন্ত যা আয় হয়েছে, সেটা নরমাল ব্যবসার চেয়ে ২০ গুণ বেশি। যদিও সংখ্যার হিসেবে তা এখনো ১২৫ কোটির ওটিটি অফারের সমান নয়।
প্রসঙ্গত, ‘সিতারে জামিন পার’ ছবিটি প্রযোজনা করেছেন আমির খান প্রডাকশনস এবং অপর্ণা পুরোহিত।
এই ছবিতে আমির খান একজন বাস্কেটবল কোচের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যিনি ১০ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষকে প্রশিক্ষণ দেন। ছবিতে অনেক নতুন মুখের অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছে, যারা তাদের চরিত্রগুলোকে জীবন্ত করে তুলেছেন। এ ছাড়াও এতে ছিলেন জেনেলিয়া ডি সুজা।