বন্যার্তদের সাহায্যে ত্রাণ নিয়ে নোয়াখালীর মাইজদীতে গিয়েছিলেন অভিনেতা আরশ খান ও অভিনেত্রী তাসনুভা তিশাসহ আটজনের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল। সেখান থেকে দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবস্থা জানিয়েছিলেন তারা।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যন্ডেলে এক ভিডিও বার্তায় অভিনেতা আরশ খান জানিয়েছেন, ‘সদর থেকে ভেতরে অনেক জায়গা আছে, সেখানে কোনোরকম থাকার জায়গা থাকলেও খাবারের অভাব। আমরা সেসব জায়গা খুঁজে খুঁজে বের করে সেখানেও ত্রাণ দিয়েছি। শিশু, বয়স্কদের অবস্থা দেখে সত্যিই খারাপ লাগছিল। মনে হচ্ছিল পৃথিবীতে তাঁদের মতো অসহায় আর কেউ নেই। এসব দেখে সাঁতার জানি কি জানি না, এটাও মাথায় ছিল না। লাইফ জ্যাকেট গায়ে ৩০ ফুট পানিতেও নেমেছি। ত্রাণের জন্য নিয়ে যাওয়া চিড়া–গুড় খেয়েই আমরা দিন-রাত পার করেছি।’
ত্রাণ দিয়ে ফেরার পথে বিপদেও পড়েছিলেন বলে জানালেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘নিজেরাই দুটি বড় নৌকা চালিয়ে রাতে সদরে ফিরছিলাম আমরা। আমি আগের নৌকায় ছিলাম। পেছনের নৌকাটি বিদ্যুতের ছেঁড়া তার থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। নৌকার সবাই শক খায়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল চারজনকে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়।’
২৪ আগস্ট, শনিবার আরশ, তিশাসহ কয়েকজন ঢাকা ফিরেছেন। আরেকদিকে মেহজাবীন চৌধুরী ও আফরান নিশোর নেতৃতে আরও একটি সেচ্ছাসেবক দল কাজ করছে বন্যাদুর্গত কুমিল্লা অঞ্চলে বেশ কয়েকটি জায়গায়।