ছাত্র- জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে মুখ খুলতে শুরু করেছেন তার স্বৈরাচারী শাসনামলে নিগৃহীত ও নিপীড়িত মানুষগুলো। এই মানুষগুলোর একজন শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা।
সরকার পতন হয়ে নতুন সরকারের যাত্রা শুরুর পর কনকচাঁপা কথা বলেছেন গান থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে। কন্ঠশিল্পী জানান, ‘আমি বিগত ৭টি বছর বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হয়েছি, তাতে মোটেই ভেঙে পড়িনি। আমি সবসময় হাসিখুশি থেকেছি। কখনো কাঁদিনি। কখনো হতাশ হইনি। সমস্যা এসেছে, কিন্তু কারো কাছে অভিযোগ করিনি।’
এরপর ক্ষোভ ও আক্ষেপ নিয়ে কনকচাঁপা যোগ করেন, ‘আমাকে ৭ বছর যেভাবে বোবা করে রাখা হয়েছে, তা বর্ণনাতীত। আমি কোনো কিছু লিখতে পারতাম না। শুধু তাই নয়, আমি গান গাইতে পারিনি। একজন শিল্পী যদি গান গাইতে না পারে, তার বোবা হয়ে যাওয়াই ভালো। কিন্তু আমি এত কিছুর পরও আশা হারাইনি।’
প্রসঙ্গত, গানের জগতে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন কনকচাঁপা। একটা সময় সিনেমার গান মানেই ছিল এই শিল্পীর কন্ঠ। শুধু সিনেমার গানেই নয়, বিভিন্ন অ্যালবামের মাধ্যমে শ্রোতাপ্রিয় সব গান উপহার দিয়েও দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছেন তিনি। তার অর্জনের ঝুলিতে আছে একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার মত সম্মান। তবে ধীরে ধীরে তিনি গানের জগতে অনিয়মিত হয়ে পড়েন।
চলচ্চিত্রে কনকচাঁপার গাওয়া গানের সংখ্যা ৩ হাজারেরও বেশি। আর তার একক গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে ৩৫টিরও বেশি। কনকচাঁপার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘অনেক সাধনার পরে’, ‘তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই’, ‘ভালো আছি ভালো থেকো’, ‘যে প্রেম স্বর্ণ থেকে এসে’ ইত্যাদি।