অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনার ফরেনসিক তদন্তে রহস্য ঘনীভূত হয়ে উঠেছে। ফরেনসিক রিপোর্ট বলছে সাইফের শরীরের ক্ষতগুলো ছুরির নয় বরং ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে হয়েছে। এমনকি সাইফ আলীর বান্দ্রার বাড়িতে মোট ১৯টি আঙুলের ছাপের কোনোটিই অভিযুক্ত শরিফুল ইসলামের ছাপের সঙ্গে মেলেনি। ফলে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের দেওয়া তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
গতকাল শনিবার লীলাবতী হাসপাতালের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দীনেশ রাওয়ের দেওয়া এক বক্তব্যে এমন তথ্যই জানা গেছে। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, লীলাবতী হাসপাতাল বান্দ্রা পুলিশকে জানিয়েছিল, ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম অভিনেতা কিন্তু ফরেনসিক তদন্ত অনুযায়ী, সাইফের শরীরের ক্ষতগুলো কোনো ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে হয়েছে।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক ভার্গবী পাতিল স্বাক্ষরিত বিবৃতির উল্লেখ জানান, ভার্গবী লিখেছেন, সাইফের ‘ক্ষত’ ভোঁতা অস্ত্রের কারণেই হয়েছে।
লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি, সাইফের মেরুদণ্ডের কাছ থেকে ছুরির ২ দশমিক ৫ ইঞ্চির একটি টুকরো তারা অস্ত্রোপচার করে বের করেছেন। পুলিশের পাল্টা দাবি, ছুরির দ্বিতীয় টুকরো তারা অভিনেতার বাসভবন থেকে এবং আরও একটি টুকরো বান্দ্রা তালাওয়ের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে। সম্ভবত পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘাতক এটি সেখানে ছুড়ে ফেলেছিল।
জনমনে এখন নানান প্রশ্ন ঘুরছে। যেমন হাসপাতালের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়, রাত ২টা ৩০-এর দিকে সাইফের ওপরে হামলা হয়। কিন্তু তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ভোর ৪টা ১১-মিনিটে। জনমনে প্রশ্ন উঠছে, সারা শরীরে ক্ষত নিয়ে দুই ঘণ্টা বাড়িতে কী করছিলেন সাইফ ও তার পরিবার?
এদিকে হাসপাতালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাইফকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক শিশু অটোরিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। প্রাপ্তবয়স্ক লোকটি অভিনেতার বন্ধু আফসার জ়াইদি। অথচ সেই সময় অভিনেতার স্ত্রী কারিনা কাপুর বাড়িতে। তা-ও কেন হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বন্ধুকে ফোন করেছিলেন অভিনেতা? এরকম অনেক প্রশ্ন উঠছে সবখানে।