কয়েক বছর ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে আছেন চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি। বড় পর্দায় তো তিনি অভিনয় করছেনই না, বিনোদন জগতের কোনো ইভেন্টেও দেখা যায়না তাকে। এদিকে সদ্য হারানো বাবাকেও পপি অনেকটা লুকিয়েই শেষ বিদায় জানাতে গিয়েছেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি মারা গেছেন অভিনেত্রীর বাবা আমির হোসেন। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানান জটিলতা ছিল তার। পরবর্তীতে আইসিইউতে চিকিৎসা চলা অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর খুলনায় তাকে দাফন করা হয়েছে।
জানা গেছে, বাবার মৃ”ত্যুর পর আর ঘরে থাকতে পারেননি পপি। বাবাকে শেষ বিদায় জানাতে তিনি ছুটে গিয়েছিলেন খুলনায়।
পপির পারিবারিক সূত্রে আরও জানা গেছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি সাদা গাড়িতে করে খুলনায় পৌঁছান অভিনেত্রী। সেই সময় তার পরনে ছিল কালো পোশাক। সঙ্গে নাকি উপস্থিত ছিলেন পপির স্বামী ও সন্তানও। খুলনায় গিয়ে নিজ বাড়িতে কয়েকজন নিকটাত্মীয় ব্যতীত অন্য কারও সাথে দেখা করেননি পপি। এমনকি বেশিক্ষণ সেখানে ছিলেনও না তিনি।
উল্লেখ্য যে, পপি ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের একজন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা। ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কুলি’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। অভিনয়ের জন্য একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করা পপির অভিনীত ছবিগুলো হলো- ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘কি যাদু করিলা’ ও ‘গঙ্গাযাত্রা’।