গতকাল বুধবার রাত ১১টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। বিপরীতে তার স্বামী ইফতেখার ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে ফেসবুকে পোস্ট দেন এবং কিছুক্ষণ পর তা ডিলিটও করেন।
কনা লিখেছেন, ‘আমি আপনাদের ভালোবাসার কনা। জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে—সবই আল্লাহর ইচ্ছা। ঠিক তেমনি যেকোনো বিচ্ছেদও হয় তারই ইশারায়। আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী এবং প্রিয়জনদের উদ্দেশ্যে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি জানাচ্ছি যে দীর্ঘ ছয় বছরের বিবাহিত জীবনের পর আমি এবং গোলাম মোহাম্মাদ ইফতেখার গহিন গত ১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন করেছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এটি আমাদের দুজনের জন্যই একটি অত্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল এবং আমরা উভয়ই পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই এই পথে হেঁটেছি। আমরা একে অপরের প্রতি সর্বদা শ্রদ্ধাশীল থাকব। জীবনের এই নতুন অধ্যায়ে আমরা দুজনেই যেন শান্তিতে এবং সম্মানের সঙ্গে যেতে পারি, তার জন্য আপনাদের সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।’
এই স্ট্যাটাসের কয়েক ঘণ্টা পর ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে ফেসবুকে পোস্ট দেন ইফতেখার।
নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ইফতেখার লিখেছিলেন, ‘কনাকে নিয়ে যা লিখছেন, তার নিতান্তই কিছু কুচক্রী ও কুরুচিপূর্ণ মানুষের বানানো। আমাদের কিছু পারিবারিক সমস্যা চলছে, যা আমরা দুজনই সমাধান করার চেষ্টা করছি। আমাদের কোনো বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। আল্লাহ মাফ করুন যদি আলাদা হতে হয়, তার কারণ আমাদের বহুদিন ধরে চলে আসা পারিবারিক দ্বন্দ্ব হতে। কোনো পরকীয়া বা এই ধরনের যত্ত সব নোংরা, মিথ্যা, বানোয়াট কোনো সংবাদ প্রকাশ করেন, তাহলে আমি সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থান নিতে বাধ্য থাকব।’
কনার বিচ্ছেদের পোস্ট দেওয়ার পরপরই সেটা অস্বীকার করে দেওয়া ইফতেখারের এই পোস্ট কৌতূহল তৈরি করে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের পোস্ট সরিয়ে দেন ইফতেখার। বিচ্ছেদ নিয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০১৯ সালের এপ্রিলে কনা ও ইফতেখার বিয়ে করেন। বিয়ের আগে সাত বছর প্রেম করেন কনা ও ইফতেখার। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনাকল্পনা চললেও দুজনের কেউই মুখ ফুটে কিছু বলেননি।