একদিন ঘুম ভাঙা শহরে, যতিন স্যারের ক্লাসে, এক পা এগুলেই, এই বুঝি তুমি এলে, আরো দেশত যাইও তুই, হৃদয় কাদামাটির কোনো মূর্তি নয়, আজ যে শিশু, তৃতীয় বিশ্ব, সময় যেনো কাটে না, আমি ভুলে যাই তুমি আমার নও, কি জানি এক দিন ছিলো, এইতো এখানে বৃষ্টি ভেজা, তুমি নেই প্রজাপতি নেই, হে বাংলাদেশ তোমার বয়স হলো কতো – এ রকম অসংখ্য কালজয়ী গীতিকবিতার রুপকার যিনি তিনি আমার একজন অগ্রজ গীতিকবি – নিভৃতচারী, সদা হাস্যোজ্জ্বল। আধুনিক বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি আপন খেয়ালে, সহজ লেখনীতে, মুগ্ধ সাবলীলতায়, অবিনাশী গীতিকাব্যে।
তারুণ্যের মূর্ত সময়ে তিনি ছিলেন আমার দিশারী। তার, প্রয়াত গীতিকবি হেনা ইসলামের আর কাওসার আহমেদ চৌধুরীর মুগ্ধ অনুসারী আমি।
তার এক ছোটভাইয়ের এলবামে গান লেখায় আর অন্য ছোটো ভাইয়ের বন্ধু হওয়ায় স্নেহের ছায়া পেয়েছি সবসময়। স্বপ্নে (রিটেইল চেইন) কাজ করার সময় দাম কিভাবে কম রেখে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হয় হাতে কলমে শিখিয়েছেন হাসতে হাসতে। গীতিকবিদের সংগঠিত করার কাজে তাকে পেয়েছি একজন অভিভাবক হিসেবে। গানের বিষয়ে তার প্রশ্রয় আজও একইরকম। আদরও তাই। তার এলিফ্যান্ট রোডের সেই ব্লু নাইল হোটেল ছিলো আশির দশকের শেষ ভাগে ও নব্বই দশকের শুরুর দিকে আধুনিক বাংলা গানের সূতিকাগার। আমিও সে সময়ের বেড়ে ওঠা বলে তার অবারিত স্নেহে ধন্য। আজও গীতিকবি সংঘের সভাপতি হিসেবে নিরন্তর সাথে থেকে আমাদের এগিয়ে নিচ্ছেন নিপুণভাবে।
আজ এ কিংবদন্তিতূল্য মানুষটির জন্মদিন। শুভ জন্মদিন নিভৃতচারী গানের কবি। আপনার জীবন কাটুক সুস্বাস্থ্যে, সাফল্যে আর সম্ভাবনায়। ভালোবাসি অনেক অনেক জঙ্গী ভাই।
লেখক: আসিফ ইকবাল, গীতিকবি