সিনেমা পরিচালক কোয়েন্টিন ট্যারান্টিনো ১৯৬৩ সালের ২৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে জন্ম নেন। তিনি একাধারে পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক ও অভিনেতা। তার ১৯৯৪ সালের চলচ্চিত্র ‘পাল্প ফিকশন’ কান উৎসবে পুরস্কার জিতে। ৬৭তম অস্কারে ৭টি বিভাগে মনোনয়ন পায়।
হলিউডে নব্বইয়ের দশক জুড়ে ট্যারান্টিনো সৃষ্টি করেছেন নিজস্ব এক ঘরানা। অনেকের কাছে আপত্তিকর মনে হলেও তার কাজ অগ্রাহ্য করার মতো নয় সিনেক্রিটিকদের কাছে। একজন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা কোন পথে হাঁটবেন সে শিক্ষা আছে ট্যারান্টিনোর ক্যারিয়ারে দৃষ্টিপাতে। মার্কিন সমাজের বিরাজমান সহিংসতা উপজীব্য হয় তার সিনেমায়। জনপ্রিয় সংস্কৃতিকে তিনি উপেক্ষা করেন না। তার ছবির সংলাপও বাস্তবতা বিবর্জিত নয়। গল্প বলার হাস্যরস দিয়ে তিনি আঘাত করেন ক্ষমতার কেন্দ্রে।
১৯৯২ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম সিনেমা ‘রির্জাভিওর ডগস’। এরপরেই সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র ‘পাল্প ফিকশন’ ।
সেরা মৌলিক চিত্রনাট্যের জন্য অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ওঠে ট্যারান্টিনোর হাতে। তার তৃতীয় সিনেমা ‘জ্যাকি ব্রাউন’ মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে। ট্যারান্টিনো বেশি আলোচিত হন কিল বিল সিরিজ এবং ‘ওয়ানস আপন এ টাইম ইন হলিউড’ সিনেমার জন্য।
ট্যারান্টিনোর একটি উক্তি আছে যার মাধ্যমে তার সিনেমার সহিংসতা ও আসল দুনিয়ার বাস্তবতার পার্থক্য করা সহজ হয়ে উঠে। উক্তিটি এমন- “বাস্তব জীবনে সহিংসতা ভয়াবহ; তবে সিনেমায় সহিংসতা দুর্দান্ত ব্যাপার কারণ সিনেমায় এটি একটি চমৎকার উপাদান হিসেবে কাজ করে।”
আমাদের সময়ের জীবিত চলচ্চিত্র কিংবদন্তিদের একজন কোয়েন্টিন ট্যারান্টিনো। জন্মদিনে তার দীর্ঘায়ু প্রার্থনা সকল সিনেপ্রেমীদের।