-মোঃ অলিউর রহমান-
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৭তম প্রয়াণ দিবস আজ। গভীর শ্রদ্ধার সাথে বাঙালি জাতি স্মরণ করছে বিশ শতকের অন্যতম বিখ্যাত চিত্রশিল্পীকে।
এই শিল্পীর জীবনের এমন অজানা অনেক তথ্য আছে, যা নিয়ে খুব বেশি চর্চা করা হয়নি। আসুন জেনে নেই চিত্রালীর মাধ্যমে।
জয়নুল আবেদিনের শিল্পকর্মের পিছনে একটি বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল ব্রহ্মপুত্র নদী। কারণ তিনি তার শৈশবের একটা বড় অংশ অতিবাহিত করেছিলেন এই নদীর পাশে।
তার মা নিজের গলার হার বিক্রি করে তাকে কলকাতার আর্ট স্কুলে ভর্তি হতে সাহায্য করেছিলেন।
তার উদ্যোগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান চারুকলা অনুষদ ১৯৪৮ সালে পুরান ঢাকার জংশন রোডে গভর্নমেন্ট আর্ট ইন্সটিটিউট হিসেবে নিজের যাত্রা শুরু করে।
জয়নুল আবেদিনের বদৌলতেই সরকার ১৯৭৫ সালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে লোকশিল্প জাদুঘর ও ময়মনসিংহে জয়নুল সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংগৃহীত ৮০৭ টি শিল্পকর্মের মধ্যে প্রায় ৮০০ টি হচ্ছে শিল্পীর নিজের হাতে আঁকা ছবি।
১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সরকার তাকে প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার ও পরবর্তীকালে বাংলাদেশ সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করে।
চিত্রশিল্প বিষয়ক শিক্ষার প্রসারে তার আজীবন প্রয়াসের জন্য তিনি শিল্পাচার্য উপাধিতে ভূষিত হলেও বাংলাদেশের চিত্রকরদের কাছে তিনি শিল্পগুরু হিসেবেই সমধিক পরিচিত।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ৩৫ সংখ্যক গ্যালারি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন চিত্রশালা হিসাবে সজ্জিত করে।
২০০৯ সালের ৯ জুলাই ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন তার নাম অনুসারে বুধ গ্রহের একটি জ্বালামুখের নামকরণ করা হয় আবেদিন জ্বালামুখ হিসেবে।
ছাত্রজীবনে সর্বভারতীয় এক চিত্রপ্রদর্শনীতে তার আঁকা ছয়টি জলরং শ্রেষ্ঠ চিত্র হিসেবে স্বর্ণপদক পেয়েছিল।
তার চিত্রকর্মের সংখ্যা প্রায় তিন হাজারেরও বেশি বলে অনুমান করা হয়। এরমাঝে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি চিত্রকর্ম হল নবান্ন, মনপুরা-৭০।
চিত্রালী জানায় বিনম্র শ্রদ্ধা- এই শিল্পগুরুকে স্মরন করে।