২০২২ সাল হতে চলছে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর হ’ত্যা মামলা। যেখানে মূল আসামি হলেন অভিনেত্রীর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদ। ২৬ সেপ্টেম্বর আরও ৪ জন সাক্ষ্য দেওয়ায় এই নাগাদ মামলাটির মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
শিমু হ’ত্যা মামলায় চার্জশিটভূক্ত সাক্ষীর সংখ্যা ৩৩ জন। যাদের মধ্য থেকে মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নির আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন, অটোচালক মনির হোসেন এবং দুই কৃষক শহিদ মিয়া ও মনির হোসেন।
নতুন ৪ জনের সাক্ষ্য শেষে সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয় ২ নভেম্বর। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি রনি মজুমদার থেকে এই তথ্য জানা যায়।
উল্লেখ্য যে, দুইজন আসামিকেই হাজির করা হয় আদালতে। তারা আছেন কারাগারে। ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর চিত্রনায়িকার স্বামী সাখাওয়াত ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গেলো বছরের জানুয়ারি মাসের ১৭ তারিখ বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাতনামা ৩২ বছর বয়সী এক নারীর মৃ’তদেহ উদ্ধার করা হয়। সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়ভাবে সংবাদ পাওয়া গেলে কলাতিয়া ফাঁড়ির পুলিশ এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের আলীপুর ব্রিজ থেকে ৩০০ গত উত্তর পাশে পাকা রাস্তা সংলগ্ন ঝোপের ভিতর থেকে পাওয়া যায় সেই বস্তাবন্দি মৃ’তদেহটি। তারপর মৃত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করার জন্য নেওয়া হয় আঙ্গুলের ছাপ। এরপর পোস্টমর্টেমের জন্য মৃ’তদেহটি পাঠানো হয় মিটফোর্ড হাসপাতালে।
অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নাম পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয় তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে। পরবর্তীতে তদন্ত করে জানা যায়, ঐ মৃ’তদেহটি অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর। ১৬ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৭-৮ টার মধ্যে কোনো এক সময়ে হ’ত্যা করা হয়েছিল শিমুকে। তদন্ত থেকে কারণ হিসেবে দাম্পত্য কলহকে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিনেত্রী শিমু হ’ত্যার ঘটনায় বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন তার ভাই হারুনুর রশীদ। এরপর মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম চার্জশিট দাখিল করেন। সেখানে অভিযুক্ত করা হয় দুই জনকে।