বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের লোগো সংবলিত প্যাডে অমুসলিম শাখার আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দেখা যাচ্ছে পূজা চেরীর নাম।
তালিকাটি ‘বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির’ এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ (মহিলা) কমিটির, এমনটি দেখা যাচ্ছে। আর সে তালিকাতেই পূজা চেরীকে দেওয়া হয়েছে এমন পোস্ট।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। একাধিক সূত্রে খবর নিয়ে জানা গেছে, ছড়িয়ে পড়া প্যাড এবং তালিকা ভুয়া। এমন কোনো তালিকা করা হয়নি।
তালিকাটি নিয়ে পূজা চেরী তার ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘মানুষ এমন অবান্তর পোস্ট করে কেমন করে, আমার বোধগম্য নয়। সাধারণত কোনো গুজব নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। তারকাদের নিয়ে রিউমার ছড়াবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আজকের গুজব নিয়ে কথা বলা জরুরি।’
গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি স্পষ্ট করেন পূজা চেরী।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘মানুষ এমন অবান্তর পোস্ট করে কেমন করে আমার বোধগম্য নয়। আমি সাধারণত কোনো রিউমারস নিয়ে মাথা ঘামাই না, তারকাদের নিয়ে রিউমারস ছড়াবে, এটাই স্বাভাবিক। মানুষের একটা কৌতূহল থাকে মিডিয়া পারসন বা তারকাদের নিয়ে। কিন্তু আজকে যে বা যারা এই রিউমারসটা ছড়িয়েছেন, এটা নিয়ে আসলেই কিছু একটা বলা উচিত। এটা শুধু রিউমারস পর্যায় পর্যন্ত থাকলে কোনো ব্যাপার ছিল না। এইখানে এখন ধর্মের বিষয় চলে আসছে, এসব করে সব ধর্মকে অপমান করা হচ্ছে। এমন কোনো রিউমারস করা আসলে উচিত না, যেই রিউমরস জাতি, বর্ণ, ধর্ম সকল কিছুর ওপর প্রভাব পড়ে।’
‘আমি একজন অভিনয়শিল্পী। বাংলা চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি, এটাই আমার প্রফেশনের জায়গা। আমি সব সময় এই প্রফেশনকেই রেসপেক্ট করি এবং উপভোগ করি। এই প্রফেশনের বাইরে আমি কোনো রাজনৈতিক প্রফেশনের সঙ্গে যুক্ত নই।’ এমনটাই বলে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে তুলে ধরেন পূজা চেরী।