দেশের বরেণ্য লোকসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন তিনি। তবে রবিবার (১৩ জুলাই) রাতে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে তাকে।
গুরুতর শ্বাসকষ্ট ও কিডনিসহ নানা জটিলতায় ভুগতে থাকা এই কণ্ঠশিল্পীকে গত ৫ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৯ জুলাই গঠন করা হয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড। এরপরই শিল্পীকে নেওয়া হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)।
ফরিদা পারভীনের ছেলে ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ইমাম জাফর নূমানী জানান, ‘রবিবার রাতে মাকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। আগের তুলনায় এখন ভালো আছেন। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ভিজিটর কমাতে হবে যেন মা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। সবাই মায়ের জন্য দোয়া করবেন।’
স্বামী, বিশিষ্ট যন্ত্রশিল্পী গাজী আবদুল হাকিমও জানালেন আশার কথা। তিনি বলেন, ‘গতকাল দুপুরে ওর (ফরিদা পারভীন) সঙ্গে কথা হয়েছে। ধীরে ধীরে কথা বলছেন। ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং রক্তে সংক্রমণও ধরা পড়েছে। কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ায় সপ্তাহে তিনবার ডায়ালিসিস করাতে হচ্ছে তাকে।
ফরিদা পারভীন বাংলাদেশের লোকসংগীতের অমূল্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮৭ সালে একুশে পদক পান। ১৯৯৩ সালে প্লেব্যাকের জন্য অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।