দীর্ঘ বিরতির পর সম্প্রতি দেশে ফিরে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছেন অভিনেত্রী শাবনূর। ৫ জানুয়ারি প্রকাশ করেছেন তার আসন্ন সিনেমা রঙ্গনার ফার্স্ট লুক। যেখানে দারুণ তিনটি রুপে চমকে দিয়েছেন সবাইকে। তবে শিকার হয়েছেন নানান সমালোচনার। এই নিয়ে অভিনেত্রীর একজন ভক্ত ও নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক সতর্ক করেছেন তাকে। শাবনূরের শরীরে মেদ নিয়ে চলমান হাসি ঠাট্টার মাঝে অভিনেত্রীকে নিয়ে ৮ জানুয়ারি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন তিনি।
নিজের ফেসবুকে নির্মাতা লেখেন, “গত কয়েক দিনে একটি পোস্টার কে কেন্দ্র করে, সবার প্রিয় অভিনেত্রী শাবনুর কে যেভাবে ট্রল করা হয়েছে, তা মনে হয় শাবনুর এর এত বছরের অভিনয় জীবনে কোনোদিন করা হয়নি। একজন শাবনুর ভক্ত হিসেবে এটা মেনে নেয়া কষ্টকর। খোদ শাবনুর ভক্তরা একে বয়কটের ডাক দিয়েছে। যাই হোক এই ট্রলের যুগে, শাবনুর এর যদি আবার মুভি করতেই হয়, অত্যন্ত বুঝে শুনে করা উচিত। আমি বিশ্বাস করি, বর্তমান সময়ের অনেক মেধাবী এবং জনপ্রিয় পরিচালক তার সাথে কাজ করতে আগ্রহী। কেউ কেউ আমাকে নিজে বলেছেন তাকে নিয়ে কাজ করার কথা। আমার মনে হয় নিজেকে আরো ফিট করে আরো সময় নিয়ে এই সব পরিচালক দের সাথে রাজকীয় ভাবে তার ফেরা উচিত। চয়নিকা দিদির “মাতাল হাওয়া” নিয়ে যে কথা হচ্ছে সেটা হতে পারে শাবনুর এর প্রপার কামব্যাক। এটার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। মোট কথা এক্সপেরিমেন্ট এর কোনো সুযোগ নেই এই সময়ে। মনে রাখতে হবে এটা ১৯২৪ না, এটা ২০২৪। বিখ্যাত সব পরিচালক, প্রযোজক,কাহিনিকার, ডিওপি,এমনকি অসংখ্য স্পট বয়ের প্রচেষ্টার সাথে শক্তিশালী অভিনয় দক্ষতার মিশেলে গড়ে উঠেছে শাবনুর এর আজকের সার্বজনীন ইমেজ। কিছু লোকের অদক্ষতা, ভাইরাল হবার প্রচেষ্টা আর শাবনুর এর নিজের খামখেয়ালির জন্য, এই ইমেজ, এই জনপ্রিয়তা, এই প্রতিমা ধ্বংস হোক, আমি সহ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অগনিত শাবনুর ভক্ত তা কোনোদিন চায় না। প্রয়োজনে আমার মুভিও রিজেক্ট করুন, তবু কাউকে নিজের ইমেজ শেষ করার সুযোগ দিবেন না প্লিজ। মুর্খ অদক্ষ কোনো মেকাপম্যান যদি আপনার উপদেষ্টা হয় তাহলে বলার কিছু নাই। আপনি এদের কে ব্যাক্তিগত ভাবে ভালোবাসুন কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু নিজের ক্যারিয়ার এর ক্ষেত্রে এদের কে বর্জন করুন, দরকারে আমাকেও বর্জন করুন।”
উল্লেখ্য, নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের হাত ধরেই ২০০৫ সালে ‘দুই নয়নের আলো’ সিনেমা দিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন অভিনেত্রী শাবনূর।