মেলবন্ধন হল অবশেষে। শাকিবের বাসায় যেতে হলো নিশোকে। শাকিব খানের বাসাতে স্বাভাবিকভাবে যাওয়া যেতেই পারে কিন্তু নিশোর এই যাওয়াটা একটু অন্যরকম। এই যাওয়ার পেছনে ছিল একটা ছোট্ট ইতিহাস। যে সঙ্কটের নেপথ্যে আছেন আফরান নিশো ও নির্মাতা রায়হান রাফী।
জানা যায়, শাকিবকে না জানিয়েই তাণ্ডব সিনেমায় ক্যামিও দেওয়ার জন্য আফরান নিশোকে শুটিং করিয়েছেন রাফি, না জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় শাকিব ক্ষুব্ধ হন। তাই তিনি সিনেমার শুটিং বাকি রাখেন।
যতক্ষণ পর্যন্ত আফরান নিশোর ক্যামিও অংশ বাতিলের ঘোষণা দেবেন না রাফী, ততক্ষণ পর্যন্ত শুটিংয়ে অংশ নেবেন না শাকিব। তবে রাফীর দেওয়া কথা অনুযায়ী শাকিব শুটিংয়ে যান। আর গতকাল, রাফি নেপথ্যে থেকে শাকিবকে যে কথা দিয়েছিলেন, সে কথাই রাখলেন। কী কথা? ওই যে নিশোকে সরি বলতে হবে।
তারই সুত্রধরে গতকাল ৩ জুন শাকিবের বাসায় গিয়েছিলেন নিশো। আর সেখানে শাকিবের সঙ্গে মিটমাট করলেন। শাকিবের বাসায় সে সময় অবস্থান করা একটি সূত্র বলছে, ‘নিশো শাকিব খানের সঙ্গে দেখা করে সরি বলেছেন।’
২০২৩ সালে অভিনেতা আফরান নিশো ‘সুড়ঙ্গ’ ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় আসেন।
ছবির মুক্তি আগে নিশো বিভিন্ন গণমাধ্যমে শাকিব খানকে ইঙ্গিত দিয়ে ‘সো কল্ড হিরো’ এবং তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কটূ মন্তব্য করেন! অথচ সেই শাকিব খানের ছবিতে সামান্য সময়ের জন্য নিশোকে রাখার চেষ্টা করছেন নির্মাতা রায়হান রাফী। আর সেটাই মানতে নারাজ শাকিব ভক্তরা।
শাকিব খানের সঙ্গে নয় ঠিক শাকিব ভক্তদের সঙ্গে আফরান নিশোর দ্বন্দের শুরুটা তখন থেকেই। নিশোর ওই আচরণ শাকিব ভক্তরা মোটেও ভালোভাবে নেয়নি। এমনকি সাধারণ দর্শকদের কাছে এমন মন্তব্যের পর জনপ্রিয় এই অভিনেতা তোপের মুখে পড়েছিলেন।
ফলে শাকিবের সিনেমা নিশোর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ও শাকিব ভক্তদের মন রাখতে রাফী যুক্তরাষ্ট্রের একজন নির্মাতার সাথে কথোপকথন করেন। যেটা অনলাইনে প্রকাশ হয়ে যায়। কয়েক সেকেন্ডের অডিও-তে রাফীর মুখে শোনা যায়, নিশো যে অন্যায়টা করছে তাকে সরি বলতে হবে। সেটা ভাইয়ার (শাকিব খান) কাছে হোক, কিংবা জন সম্মুখে হোক। এটা নিয়া আমার এবং ভাইয়া কারও কোনো দ্বিমত নাই।
উদাহরণ দিয়ে রাফী বলেন, আজকে আমার সাথে যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, তাহলে তাকে ফোন দিয়ে আর যেভাবে হোক সরি বলতে হবে। নিশো সরি বললে শাকিব খান যদি চায় কাজ হবে, না চাইলে হবে না। আমি তো এত বোকা ডিরেক্টর না।
যদিও ওই অডিওকে ভুয়া হিসেবে বলেছেন রাফী, কিন্তু নেটিজেনরা জানে সত্যটুকু।
অবশেষে শাকিবের বাসায় যেতেই হলো নিশোকে। না হলে শাকিব কোনোভাবেই নিশোর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে রাজি ছিলেন না। বিশেষ করে ভক্তদের বিষয়টি তিনি মাথায় খুব ভালোভাবেই রাখেন। আর ভক্তদের কথা মাথায় রেখেছেন আফরান নিশোও যার কারণে শাকিবের বাসায় গিয়ে সরি বলে আসলেন।