৬ আগস্ট বেলা ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে রাখা হবে পান্না কায়সারের মরদেহ।
এরপর বাংলা একাডেমিতে বেলা ১ টায় শ্রদ্ধা জানানো হবে সাবেক সংসদ সদস্যকে। তারপর বাদ যোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে শহীদ জায়াকে ।
৪ আগস্ট সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের সহধর্মিণী বরেণ্য লেখক ও অধ্যাপক পান্না কায়সার।
উল্লেখ্য, বিশিষ্ট এ লেখকের প্রথম জানাজা গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ঢাকায় অবস্থিত ইস্কাটনের বাসায় তার মরদেহ নেয়া হয় । সেখানে কিছু সময় রাখার পরে তার মরদেহ বারডেমের হিমঘরে স্থানান্তর করা হয়।
১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন পান্না কায়সার । তাঁর আরেক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের সহধর্মিণী এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা।
১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে গড়ে ওঠা দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’ এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি । বিশিষ্ট এ লেখক ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন । এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি ছিলেন।
১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন আলোচিত এ সমাজসেবক।
চিত্রালী আজকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে বরেণ্য এ লেখককে।