২৮ মে অর্থাৎ গেল মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসেছে শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তীর ‘লাগে উরাধুরা’। চিত্রালীর সাথে আলোচিত গানটির পেছনের গল্প জানিয়েছেন গীতিকার রাসেল মাহমুদ।
‘উরাধুরা’ গানে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
মুক্তির পর থেকেই দেশ-বিদেশের কয়েকশ ইউটিউবার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর মেতে ওঠেন ‘তুফান’ সিনেমার গানটি নিয়ে। সেই হাইপটা ছিলো আমাদের কল্পনার অতীত। আর কাজের অভিজ্ঞতা বলতে গেলে ‘দামাল’ সিনেমার সব গুলো গানই তো আমার করা সেখান থেকে রাফির (নির্মাতা রায়হান রাফি) সাথে আমার পূর্ব পরিচয়। আর প্রীতম। (সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান) অনেকেই হয়তো জানে না, ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটিও আমার লেখা আর এর গানের কো-প্রডিউসার হিসেবে কিন্তু কাজ করেছিল। তাই ‘উরাধুরা’য় কাজ করার জন্য খুব কমফর্টেবল জায়গা ছিল।
‘টাকা ও পাখি’ এখন ‘উরাধুরা’ শ্রোতা-ভক্তরা মুখিয়ে আছে নতুন কি নিয়ে আসছেন রাসেল মাহমুদ?
চলতি বছরে বেশকিছু কাজ আসছে। তবে একদম রিসেন্ট, সেই রিলিজ গুলো কনফর্ম তার মধ্যে রয়েছে জীবনের (অভিনেতা ও নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবন) ‘চক্কর ৩০২’ সিনেমা, যেইটা ওর প্রথম নির্মিত সিনেমা। আমি ‘চক্কর’-এর টাইটেল সং-টা করছি।
এছাড়া নির্মাতা সানি সানোয়ার, যিনি ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমা নির্মাণ করেছেন তার ‘এশা মার্ডার’ সিনেমাতেও একটি গান করছি আমি। এর বাহিরে কলকাতার দুটি সিনেমায় গান লেখার কথা-বার্তা চলছে। খুব শিগগির কিছু একটা জানাতে পারবো।
আপনার শৈশবের কিছু স্মৃতি আর গীতিকার হয়ে ওঠার পেছনের কোনও গল্প আছে কি?
আমার বাবা একজন সরকারি কর্মজীবী ছিলেন। সেই সুবাদে আমি দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকেছি। ছোট বেলা থেকে আমি মফস্বল শহর, গ্রাম, ঢাকা মোটামুটি সব কিছুই দেখছি। পরে ঢাকাতেই থিতু হয়েছি ,কারণ আমার জন্ম ঢাকাতেই।
আর গীতিকার, আমি আসলে মূলত বিজ্ঞাপনের মানুষ। সেখানেই ফোকাস ছিল। তবে করোনা কালে, যখন খুব একটা কাজ ছিল না। নিজের অবসাদ কাটাতে, শখের বসে গান লেখা শুরু করি। রাফির ‘দামাল’ সিনেমার ‘রাখো সাহস বুকে, জয় দেখো খুব কাছে’ গানের জন্য প্রথম সেরা গীতিকার হিসেবে ‘১৮তম-চ্যানেল আই-সানসিল্ক মিউজিক এ্যাওয়ার্ডস’ পাই।
সেখান থেকেই বলা চলে ‘গীতিকার রাসেল মাহমুদ’ পরিচিতিটা পাই। আর এমনতেও দর্শক বিজ্ঞাপনের পেছনের মানুষদের খুব একটা চেনে না। পরে ‘সুড়ঙ্গ’-তে আইটেম সং করলাম ‘টেকা পাখি’ । আর এবার ‘উরাধুরা’ করলাম। ‘তুফান’-এর আরও একটা গান আমার লেখার কথা ছিল কিন্তু অন্য একটা কাজে ঢাকার বাহিরে চলে যাওয়ায় তা পসিবল হয়নি।
‘তুফান’ দাপটেই প্রথমে সানি সানোয়ার ও সম্প্রতি ‘জংলি’ ঈদ মুক্তি থেকে পিছিয়ে গেল- এই গুঞ্জনে আপনার কি মত?
আমাদের দেশের সিনেমা গুলো খুব বেশি ঈদ কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয় ভয় পেয়ে তারা পিছিয়ে গেছে এইভাবে না বললেও তাদের সিদ্ধান্তে আমি একমত। কারণ দিন শেষে সবাই সিনেমা বানায় একটা ভালো কিছুর আশায়। আর হল, আমাদের দেশে প্রেক্ষাগৃহ বলতে গেলে ১৫০টি তার মাঝেও আরাম করে সিনেপ্লেক্সের মত মানসম্মত হল-ই বা কতগুলো রয়েছে। তাই এত শ্রম ও সময় দিয়ে একটি সিনেমা বানিয়ে ২/৪টি হলে চালানোর চেয়ে, ঈদের বাহিরে অন্য সময় মুক্তি দিলে সারা বছর দর্শকরা হলমুখি থাকতে পারবে। ঈদে যদি কোনও ছবি ১০০ জন দর্শক পেত, অন্য সময়ে কম করেও ৬০/৭০ জন দর্শক তো পাবেই।
আমার কাছে মনে হয় এম রাহিম ও সানি সানোয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সত্যি বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন।