পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে চলে গেছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্র- জনতার একদফা দাবির মুখে বাধ্য হয়ে তিনি এই পদক্ষেপ নিলে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা অনেকেই বিদেশ পালিয়েছেন। তাহলে কি কন্ঠশিল্পী মমতাজও পালিয়ে গেছেন? অনেকের মনেই এখন এই প্রশ্ন!
বিভিন্ন সূত্রের তথ্যানুযায়ী, জনরোষ থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে মমতাজ দেশত্যাগ করেছেন। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। কেননা, অন্য সূত্র থেকে আবার বলা হচ্ছে, বিদেশ পালাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। একারণে দেশেই আত্মগোপন করে আছেন। আপাতত আত্মগোপনে থাকলেও বিদেশ পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মমতাজের ব্যক্তিগত মুঠোফোন গেলো চারদিন ধরে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তাই কন্ঠশিল্পীর সঙ্গে এই মুহূর্তে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, তিনবারের সংসদ সদস্য সংগীতশিল্পী মমতাজ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হতে না পারলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকে মানিকগঞ্জ–২ (সিংগাইর-হরিরামপুর- সদরের ৩ ইউনিয়ন) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন তিনি। পরে শেখ হাসিনার বিশেষ বিবেচনায় সংরক্ষিত নারী আসন-১৫ থেকে এই গায়িকা জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ।
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে বরাবরই সম্পৃক্ত মমতাজ। আওয়ামী স্বৈরশাসনের কালে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে দলীয় অনুষ্ঠানগুলোতে মমতাজ চটকদার গান গেয়েও বহুল আলোচিত হন।
মমতাজের বিরুদ্ধে আছে স্বেচ্ছাচারিতা, আত্মীয়করণ, পদবাণিজ্য, বিতর্কিত ব্যক্তিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া সহ নানান অভিযোগ। তাছাড়াও পারিবারিক ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে নিজের অনুসারী কর্মী বাহিনী দিয়ে স্বামী ডা. মঈন হাসানের ওপর হামলা ও সর্বশেষ তার বাবা প্রয়াত মধু বয়াতির প্রথম স্ত্রী ও তিন কন্যার প্রতি অবিচারের অভিযোগ রয়েছে মমতাজের বিরুদ্ধে।
একারণেই সরকার পতনের পর এই গায়িকার খোঁজ করছেন অনেকেই।