দাফন করা হবে নাকি সৎকার? এমন প্রশ্নে নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। অতঃপর নব্বই দশকের শ্রোতাপ্রিয় গায়ক মনি কিশোরের মরদেহ রয়ে যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গেই। অবশেষে তিনদিন পর অবসান হলো গায়কের দাফন জটিলতার।
২৪ অক্টোবর গায়কের মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানা গেছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন গীতিকার মিল্টন খন্দকার।
দাফন প্রসঙ্গে মিল্টন ২৩ অক্টোবর জানান, ‘মনি কিশোরের মেয়ে নিন্তী চৌধুরী সরকারীভাবে একটি কাগজ পাঠিয়েছেন। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে থানা কর্তৃপক্ষ কাগজটি পেয়ে যাবে। পেতে পেতে হয়তো রাত হয়ে যাবে। রাতে তো আর দাফন সম্ভব নয়। আশা করছি আগামীকাল (২৪ অক্টোবর) জোহরবাদ তার নামাজে জানাযা ও দাফন হবে।’
তাহলে কোথায় হচ্ছে মনি কিশোরের দাফন? বিষয়টি নিয়ে মিল্টন বলেন, ‘ইতোপূর্বে মনি কিশোরের মরদেহ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফনের কথা প্রচার করা হচ্ছিলো। এটি আসলে ভুল তথ্য ছিল। মনি কিশোরের ভাই এটি ভুল করে বলেছিলেন। এখন পারিবারিকভাবে দাফনের চেষ্টা চলছে। দাফনের জন্য প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্তানের কথা ভাবা হয়েছিল। সেখানে অনেক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে বলে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। রামপুরা অথবা বনশ্রীর কোন একটি গোরস্থানে এখন দাফন করতে চাই। সরকারী কাগজটি হাতে পেলেই দাফনের স্থানটি সবাইকে জানিয়ে দিবো।’
উল্লেখ্য যে, রাজধানীর রামপুরার নিজ বাসা থেকে ১৯ অক্টোবর রাতে মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এ গায়কের মেয়ে দেশের বাহিরে থাকায়, তিনি দেশে আসবেন নাকি আসবেন না- তা নিয়েও কথা উঠছিল। পাশাপাশি দাফন নাকি সৎকার, কোন ধর্ম অনুযায়ী তাকে বিদায় জানানো হবে এই বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তো রয়েই গিয়েছিল। সবমিলিয়ে শিল্পীর মরদেহ দাফনে বিলম্ব হচ্ছিলো।