গত বৃহস্পতিবার মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। ডিবি পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আটকাদেশ স্বাক্ষরের তারিখ থেকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
সেই আটকের পর দেশজুড়ে নানা সমালোচনা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ১৩ এপ্রিল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি, শিগগিরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে। তিনি আরো বলেন, ‘মেঘনা আলমকে ডিটেনশন দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের মিটিং করেছি। উনার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ আছে। পুলিশ তদন্ত করছে। তবে তাকে গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি। অচিরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে মেঘনা আলমের লাইভ চলার মধ্যে তিনি অভিযোগ করেন তার বাসার ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরচয়ধারীরা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। ফেসবুক লাইভে যেটার সত্যতাও পাওয়া গিয়েছে। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়।
মেঘনা আলমের ফেসবুক লাইভ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন স্ট্যাটাস ও মেসেনজারের ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশট আলাপে জানা যায়, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের এম্বাসেডর মো: এসা ইউসেফ-এর সাথে বিয়ের আংটি বিনিময় হয়েছে মিস বাংলাদেশের।
কিন্তু এম্বাসেডরের প্রথম বিয়ের কথা জানতে পেরে মেঘনা আলম আংটি ফিরিয়ে দেন এবং বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। নেটিজেনরা দাবি করছেন বিবাহ না করতে চাওয়ার জের ধরে বিশেষ ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে আটক করা হয়েছে।