বৈচিত্র্যপূর্ণ সব চরিত্রে অভিনয় করে দীর্ঘদিন ধরেই মনসপাটে শতাব্দী ওয়াদুদ। প্রতিটি চরিত্রেই নিজস্বতার একটা ছাপ রাখেন এই অভিনেতা। তার সব চরিত্রের মধ্য দিয়েই রয়েছে নিজস্ব মুনশিয়ানা।
কখনো পুলিশ, কখনো খুনি, কখনো ঢোলবাদক বা প্রতিবাদী নানাবিধ চরিত্রে নিজেকে তুলে ধরেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ। বৈচিত্র্যময় সব চরিত্রে এত মুনশিয়ানা কিভাবে দেখান এমন প্রশ্নে শতাব্দী ওয়াদুদ বলেন, ‘পৃথিবীতে ৬০০ কোটির বেশি মানুষ, একেকজন একেক ধরনের। বিভিন্ন চরিত্রে কিন্তু আমি শতাব্দী ওয়াদুদই অভিনয় করছি। যখন যে চরিত্রই পাই, পরিচালকের চাহিদামতো সেটা পর্দায় তুলে আনি। এখানেই আমার মুনশিয়ানা। যদিও কাজটা সহজ নয়। কিন্তু দীর্ঘদিন থিয়েটারের অভিজ্ঞতা থাকায় আমার জন্য সুবিধা হয়েছে’।
এছাড়াও অভিনয়ে দর্শকদের সমালোচনা বিষয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি পর্দায় নেতিবাচক ও ইতিবাচক দুই ধরনের চরিত্রেই কাজ করছি। আমার কাজ দেখে কেউ সমালোচনা করলে আমি নিতে পারি। আমি মনে করি, সৃজনশীল কেউ যদি সমালোচনা নিতে না পারেন, সেটা তার দৈন্য।’
তার অভিনীত কোনো চরিত্রের মধ্যে কোন চরিত্রটি এখনো মনে দাগ কেটে আছে এমন প্রশ্নের উত্তরে শতাব্দী বলেন, ‘প্রিয় চরিত্রের কথা যদি বলেন, “আগস্ট ১৪’ -এর খালিদ আমার অন্যতম পছন্দের চরিত্র।’ শিহাব শাহীন পরিচালিত সিরিজ ‘আগস্ট ১৪’ -তে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এই অভিনেতা।
মঞ্চে অভিনয়ের মাধ্যমে হাতেখড়ি শতাব্দী ওয়াদুদের। তবে অভিনয়ের জন্য কখনো পড়াশোনাতে ঘাটতি হয়নি তার। অভিনয়ের পাশাপাশি করে গেছেন অভিনয়চর্চা। এ প্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন, ‘আমি অষ্টম-নবম শ্রেণিতে থাকা সময়েই রাত আটটা–নয়টা পর্যন্ত মঞ্চে অভিনয়ের চর্চা করেছি। কারণ, দক্ষ অভিনেতা হতে হলে সবার আগে অভিনয়ের জন্য নিয়মিত চর্চা প্রয়োজন’। মঞ্চ অভিনয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পেশাদার অভিনেতা তৈরিতে মঞ্চ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমি মঞ্চের মানুষ, আমি বলব, কেউ মঞ্চে সঠিক দিকনির্দেশনায় অভিনয় করলে শতকরা ৮০ শতাংশ অভিনেতা তাকে মঞ্চই বানিয়ে দেয়’।
বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। গেরিলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। অভিনয় করেছেন তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত ‘জীবনঢুলি’ চলচ্চিত্রেও।