ক্যারিয়ারের এক পর্যায়ে দেশ-বিদেশের অসংখ্য তারকাই অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। কেউ করেন রেস্তোরাঁ, কেউ পার্লারের ব্যাবসা, কারও রয়েছে ফ্যাশন ব্র্যান্ড, কারো বা থেকে প্রোডাকশন হাউজ। তেমনি বাংলাদেশী অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীও যুক্ত হয়েছেন ব্যবসার সঙ্গে। তার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘ফার্নি’। এটি একটি ইন্টেরিয়র ডিজাইন ফার্ম।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে এই ভিন্ন উদ্যোগের কথা জানান অভিনেত্রী। ভবিষ্যতে এটা নিয়ে আরও মনোযোগী হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘একসময় কস্টিউম ডিজাইন নিয়ে আমি খুব আগ্রহী ছিলাম। মনে হয়েছিল, ওটা নিয়ে কাজ করব। পরে মনে হলো, এটা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। এরপর অনুভব করলাম, অভিনয়ের পর যে বিষয়টা আমার সবচেয়ে ভালো লাগে, সেটা হলো, ইন্টেরিয়র ডিজাইন। নিজের বাসায় করতে করতে ও বন্ধুদেরটা দেখতে দেখতে এটা নিয়ে মূলত আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সেই আগ্রহের জায়গা থেকে কয়েকজন বন্ধু ও সহকর্মীর সঙ্গে মিলে ইন্টেরিয়র ফার্ম দিয়েছি; যেটার নাম ‘‘ফার্নি’।’
মেহজাবীন আরও বলেন, ‘ফার্নি আমাদের ব্রেন চাইল্ড। বিষয়টি নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। কতটুকু করতে পারব, জানি না। কিন্তু ইন্টেরিয়র ডিজাইন আমার কাছে খুব মজার কাজ বলে মনে হয়। প্রত্যেক মানুষের চাওয়া ভিন্ন। সেটাকে মাথায় রেখে নিজের ক্রিয়েটিভিটি প্রয়োগ করা আমার কাছে ভীষণ এক্সাইটিং লাগে। এখন পর্যন্ত গত দেড় বছরে আমরা ছয়টি প্রজেক্ট করেছি।“
এত দিন কেন ব্যবসার বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছিলেন তা নিয়ে মেহজাবীন বলেন, ‘এটি নিয়ে আমি ফেসবুকে কয়েকবার পোস্ট করেছি। কিন্তু সেভাবে কেউ খেয়াল করেনি। মনে করেছে, আমি হয়তো অন্য কারওটা প্রমোট করছি। তবে এটাও সত্যি, সেভাবে এই প্রজেক্ট নিয়ে কোথাও বলা হয়নি।’
ভবিষ্যতে ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে বলে জানান মেহজাবীন। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের পাশাপাশি সিনেমা প্রযোজনার সঙ্গেও যুক্ত থাকতে চান তিনি। ‘সাবা’ ও ‘প্রিয় মালতি’ সিনেমার প্রযোজনার সঙ্গেও মেহজাবীন যুক্ত ছিলেন বলেন জানান।