সম্প্রতি আবারও বিয়ে করেছেন বলে জানান সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। বিয়ে করে সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে আবারও আলোচনায় আসেন তিনি। তবে এবার গায়কের নতুন স্ত্রী ফারজান আরশি বিষয়টি অস্বীকার করে পাল্টে দিয়েছেন সব হিসেব-নিকেশ।
২২ নভেম্বর আরশির ব্যক্তিগত ফেসবুক হ্যান্ডেল থেকে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করা হয়। দীর্ঘ স্ট্যাটাসটিতে স্পষ্টভাবে তিনি জানান যে তার সাথে বিয়ে হয়নি নোবেলের, বরং তাকে নেশা করিয়ে ভাইরাল ছবিগুলো তোলা হয়েছিল।
আরশি তার নাম জানিয়ে স্ট্যাটাসটি শুরু করে লিখেন, “আমি ফারজান আরশি। আপনাদের যাকে নিয়ে অনেক কৌতূহল। আমি এখন এমন একটা পরিস্থিতিতে আছি যে আমার সবকিছু স্বাভাবিক নেই। আমি মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়েছি, তারপরও আপনাদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করছি সবকিছু ক্লিয়ার করার জন্য।” এতটুকু বলে তিনি যোগ করেন, “আমি খুলনায় বিভিন্ন ভ্লগ করে থাকি, সেজন্য একটি ভিডিও কন্টেন্ট বানানোর উদ্দেশ্যে নোবেলের বাড়ি গোপালগঞ্জ যাই। আমার সঙ্গে আমার এক বান্ধবীও ছিল। ওখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায়।”
স্ট্যাটাসের এই পর্যায়ে আরশি লিখেন, “নোবেল তার মায়ের সামনেই আমার গলায় ছুরি ধরে এবং আমার ফোনটি কেড়ে নেয় এবং জোর করে আমাকে ঢাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। আমাকে বিভিন্ন ড্রাগ জোড় করে সেবন করায় এবং মারধর করে। আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।”
থানায় যোগাযোগ করার বিষয়ে তিনি লিখেন, “পরবর্তীতে ডেমরা থানায় আমাকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে একটা জিডি করায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে আমার বাবা এবং কাজিন উদ্ধার করতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি নোবেলের কথামত ভয়ে পুলিশকেও মিথ্যা বলি, তখন আমার শরীরে ড্রাগ পুশ করা ছিল। পরে গোপালগঞ্জ থেকে আমার পরিবার আমাকে উদ্ধার করে।”
সবশেষে আরশি লিখেন, “নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে আমাকে দিয়ে উক্ত ছবিগুলা তুলেছে। নোবেলের সঙ্গে আমার কোনো প্রকার বিয়ে হয়নি এবং কোন সম্পর্কও নেই। আমি পরিবেশ এবং পরিস্থিতির স্বীকার। আমি এবং আমার পরিবার খুব ভয়ভীতির মধ্যে আছি। আমি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমি একটি মেয়ে। আমি আমার পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাই।”
পরবর্তীতে নোবেলের কথিত এই স্ত্রীর প্রোফাইল থেকে মুছে ফেলা হয় স্ট্যাটাসটি। কিন্তু ততক্ষণে স্ট্যাটাসের স্ক্রিন শট ভাইরাল হয়ে যায় অন্তর্জালে।
এদিকে জিডির ব্যাপারে ঢাকা মহানগর ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিকদের তিনি জানান, কিছুদিন আগে ফারজান আরশির বাবা গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মৌখিক অভিযোগ করেন। তবে কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি তিনি। আর আরশির কাছে এই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি স্বেচ্ছায় নোবেলের সাথে যাওয়ার কথা জানান পুলিশকে। আরশির বাবা কিংবা আরশি, কেউই লিখিতভাবে কিছু জানাননি। যদি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়, তাহলে পরবর্তীতে অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ব্যক্তিজীবন জীবন নিয়ে সর্বদাই আলোচনায় থাকেন এক সময়ের ‘সারেগামাপা’ খ্যাত গায়ক নোবেল। এবার চতুর্থবারের মত বিয়ে করার কথা জানিয়ে আবারও নেটিজেনদের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হলেন তিনি। কি সত্য? কি মিথ্যা? জানার অপেক্ষায় নেটিজেনরা।