পুলিশের নিষেধাজ্ঞার পরও ২০২৩ সালের থার্টিফাস্ট নাইটেও বর্ষবরণ করতে ফোটানো হয়েছে পটকা ও আতশবাজি। বিকট শব্দে একের পর এক পটকা-আতশবাজি ফোটানোর আওয়াজ, আর ফানুস উড়িয়ে শুরু হয়েছে নতুন বছর ২০২৪। ঢাকাবাসীর এমন উদযাপন চলতে থাকে মাঝরাত পর্যন্ত। ফলশ্রুতিতে এই শব্দে শিশু, বৃদ্ধসহ রোগীদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। অসুবিধায় পড়তে হয়েছে পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিবারকেও।
আতশবাজির বিকট শব্দে ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশার মেয়ে ইলহাম বারবারই কেঁপে কেঁপে উঠছিল। যার কারণে থার্টিফাস্ট নাইটে ফারুকী তার অফিশিয়াল ফেসবুক হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করে বিষয়টি নিয়ে বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি পোস্টে লিখেন, “নতুন বছর শুরু করতে হচ্ছে অভিশাপ দিয়ে। ঘুমন্ত সন্তান যখন কেঁপে কেঁপে ওঠে, তখন পিতা কেবল অভিশাপই দিতে পারে।”
এরপর তিনি যোগ করেন, “কারো আনন্দের বিনাশ আমি কখনোই চাই না। কিন্তু আজকে বলতে বাধ্য হচ্ছি: তোদের অসভ্যতার শেষ হোক, শেষ হোক, শেষ হোক! সংযুক্তি: এখন বাজে রাত দুইটা।” ফারুকীর পোস্টে অনেককেই দেখে গেছে তার সাপোর্টে কথা বলতে। নিজেদের পরিবার ও এলাকার খবর জানিয়েও মন্তব্য করেন অনেকে।
পরবর্তীতে ১ জানুয়ারি সকালে আরও একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস পোস্ট করেন ফারুকী। তার এই পোস্টের মূল বার্তা ছিল আতশবাজি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান নিয়ে। ফারুকী লিখেছেন, “ওকে, আই হ্যাভ অ্যা সাজেশন। উৎসব যেহেতু থাকবে, আবার এই শহরে ছোট শিশু-বয়স্ক মানুষ-রোগী-পশু-পাখীদেরও থাকতে হবে, তাহলে একটা উপায় বের করা যায়? পুরা শহরটাকে যুদ্ধক্ষেত্র না বানায়ে শহরের তিনটা জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়া যায়? যেখানে উৎসব করার জন্য মানুষ জড়ো হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের এখানে তো আর সিডনি হারবার ব্রিজের মতো কোনো জায়গা নাই। আমাদের সব জায়গাইতো আবাসিক। সেই জন্য জায়গার পাশাপাশি সময়টাও বেঁধে দেয়া দরকার!” দীর্ঘ স্ট্যাটাসের সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফারুকী লিখেন, “সবার নতুন বছর আনন্দের হোক, এমনকি যারা কালকে আমার মেয়েকে আতংকের উপর রাখছিলেন, তাদেরও!”
এছাড়াও ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ খ্যাত এই পরিচালক ও অভিনেতার স্ট্যাটাসের শেষে ছিল এক বিশেষ দ্রষ্টব্য। যেখানে ফারুকী লিখেছেন, “একজন লিখছেন আমি নাকি সারাজীবন এটাকে সমর্থন দিয়ে এই প্রথম এটার বিরুদ্ধে লিখলাম। আমি জানিনা উনি কোথায় পাইলেন, যে অন্যের আতংক সৃষ্টি করারে আমি সমর্থন করছি। সোশ্যাল মিডিয়া মনগড়া কথা লিখার আখড়া! উনি বোধ হয় আমার কাজকর্মের খবরও রাখেন না। আমি যে ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র মতো একটা সিনেমা বানাইছি এটা নিয়া সেটাও হইতে উনি জানেন না। হায় সেলুকাস!”
ক্ষোভ নিয়ে বছর শুরু হলেও প্রিয় তারকার পুরো বছর যেন আনন্দে কাটে এমন কামনা করেই নতুন স্ট্যাটাসে বেশি বেশি মন্তব্য করছেন ফারুকীর ফেসবুকের অনুরাগীরা।