১১ মে চিরতরে বিদায় নিলেন হলিউডের স্বর্ণযুগের অন্যতম চলচ্চিত্র নির্মাতা, অস্কারজয়ী পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার রবার্ট বেন্টন। নিউইয়র্ক শহরের নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
হলিউডে নির্মাণের ধারাকে নতুন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া বেন্টন ১৯৬০-এর দশকে ‘এসকুইর’ ম্যাগাজিনের আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
শুরুতে বেন্টন লেখক হিসেবে পরিচিত হন। ফরাসি নিউ ওয়েভ সিনেমা ও আমেরিকার গ্যাংস্টার ইতিহাসের প্রেমে পড়ে তিনি ডেভিড নিউম্যানের সঙ্গে মিলে রচনা করেন ‘বনি অ্যান্ড ক্লাইড’-এর কাহিনি। এই সিনেমার মাধ্যমে ১৯৬৭ সালে হলিউডে নতুন ধারার সূচনা ঘটে।
বেন্টন ও নিউম্যান এক সময়ের নিষিদ্ধ গল্পগুলো সাহসীভাবে পদক্ষেপে বলতে শুরু করেন।
সিনেমাটি সমালোচনার মুখে পড়লেও পরে এটি কালজয়ী ক্লাসিকে পরিণত হয়। ১৯৭৯ সালে বেন্টনের লেখা ও পরিচালিত ‘ক্রেমার ভার্সেস ক্রেমার’ তাকে এনে দেয় সেরা চিত্রনাট্য, সেরা পরিচালনা ও সেরা চলচ্চিত্রের অস্কার।
পরবর্তী সময়ে ‘প্লেসেস ইন দ্য হার্ট’-এর জন্যও তিনি চিত্রনাট্য বিভাগে পুরস্কার জেতেন। ‘নোব্যাডি’স ফুল’-এ পল নিউম্যানের অস্কার-মনোনীত পারফরম্যান্স ছিল বেন্টনের শেষ বড় সাফল্য।
পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি নিরবেই ছিলেন, কিন্তু রেখে গেছেন সাহসী গল্প বলার এক অনন্য নজির। বেন্টনের পরিচালনায় সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন ডাস্টিন হফম্যান, মেরিল স্ট্রিপ ও স্যালি ফিল্ডের মতো কিংবদন্তি অভিনেতারা।