Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
সোমবার, জুলাই ৭, ২০২৫

ন্যায্য দাবী আদায়ে আ’ন্দো’ল’নরত শিক্ষার্থীদের হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য তারকাদের মত আওয়াজ তুলেছেন সংগীতশিল্পী কবির সুমন।

১৮ জুলাই, বৃহস্পতিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে সংগীতশিল্পী লেখেন, ‘আমি ভারতের নাগরিক। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। তার বিষয়-আশয়ে নাক গলানোর অধিকার আমার নেই। সেটা করতে চাইও না। তবু বাংলাদেশের অনেকের কাছ থেকে যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তা ভুলে থাকতেও পারছি না। ভুলবই বা কেন? ছবি দেখছি ঢা’কা বি’শ্ব’বি’দ্যা’লয়ের। একটু আগেই দেখলাম। মি’ছি’ল করছেন বি’শ্ব’বি’দ্যা’লয়ের ছা’ত্র’ছা’ত্রী’রা। নেপথ্যে শোনা যাচ্ছে কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহকপাট/ভেঙে ফেল্ কর রে লোপাট’! মনে হচ্ছে গানটি এডিট করে বসানো হয়েছে ভিডিওর সঙ্গে। ঠিক কাজই করা হয়েছে। কত সময়ে দেখেছি ঢা’কা বি’শ্ব’বি’দ্যা’লয়ের ছা’ত্র’ছা’ত্রীরা আমার গানের লাইন লিখে দিয়েছেন দেওয়ালে। পশ্চিমবঙ্গে সে তুলনায় কিছুই দেখিনি। বলতে দ্বিধা নেই, মনে মনে আমি বাংলাদেশেরও নাগরিক।’

প্রখ্যাত এই শিল্পী আরও লেখেন, ‘আমার জীবনসায়াহ্ন কাটছে মাভাষায় খেয়াল রচনা করে, গেয়ে, শিখিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের সরকার আমার বাংলা খেয়ালকে স্বীকৃতি দিয়েছেন, যদিও তাদের পেটোয়া এক শিল্পী বাংলা খেয়াল নিয়ে এবং সেই সঙ্গে আমায় বিদ্রূপ করেছেন এবং এই রাজ্যের সরকারঘনিষ্ঠ একটি পত্রিকা সেই বিদ্রূপ ও মগজহীন উদ্ভট বক্তব্য ঘটা করে ছাপিয়েছেন—আমার একটি ব্যঙ্গচিত্রসমেত।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমার জীবনের সেরা কাজ এবং আমার জীবনসায়াহ্নের প্রধান কাজ বাংলা খেয়াল বাংলাদেশে চর্চা করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের শিল্পী মরহুম আজাদ রহমান বেশ কিছু বাংলা খেয়াল রচনা করে গিয়েছেন বিভিন্ন রাগে। বাংলা ভাষা আর বাংলা খেয়ালের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে আমি বাঁধা ভালোবাসার বন্ধনে। গতবার ঢাকায় গানের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে যে সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছি, তা ভারতে পেয়েছি ক’বার?’

কবির সুমনের ভাষায় , ‘এহেন আমি বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারি না। থেকেছি কয়েক দিন। আর পারছি না। কিন্তু অবস্থাটা যে ঠিক কী, কী কী কারণে যে এমন হলো এবং হচ্ছে, কারা যে এতে জড়িত তা-ও তো ঠিকমতো জানি না। তা-ও পঁচাত্তর উত্তীর্ণ এই বাংলাভাষী করজোড়ে সব পক্ষকে মিনতি করছি: অনুগ্রহ করে হিংসা-হানাহানি বন্ধ করুন। ঢাকা সরকারকে অনুরোধ করছি: বাংলা ভাষার কসম, শান্তি রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। আপনাদের ছাত্রবাহিনী যেন হিংসার আশ্রয় না নেন। আর কী বলি! আমি তো সশরীরে যেতে পারছি না ঢাকায়। পারলে যেতাম। রাস্তায় বসে পড়ে সকলকে শান্তি রক্ষার জন্য আহ্বান করতাম।’

সবশেষে তিনি লিখেন, ‘হা’না’হা’নি বন্ধ হোক। বন্ধ হোক উল্টোপাল্টা কথা বলে দেওয়া। বাঁচুক বাংলাদেশ। বাঁচুন বাংলাদেশের সকলে।’

Share this article
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Read next

ভারতীয় নারীদের অপমান করতে চাননি সাই পল্লবী

আসছে মহাকাব্য রামায়ন নিয়ে সিনেমা। ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে এর ফার্স্ট লুক টিজার। রামায়নে সীতার চরিত্রে অভিনয়…

আসছে ভারতের সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল সিনেমা ‘রামায়ণ’  

ভারতীয় সিনেমায় ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে ‘রামায়ণ’। পৌরাণিক গল্পে নির্মিত এ সিনেমা মুক্তি পাবে দুই ভাগে। প্রথম পর্ব…

কবিতার বই প্রকাশ করছেন অভিনেতা অমিত হাসান

গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা অমিত হাসান। নায়কের পাশাপাশি পর্দায় খলনায়ক হয়েও পেয়েছেন সাফল্য।…

প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা

কোরবানির ঈদের সিনেমাগুলোর রেশ কাটতে না কাটতে প্রেক্ষাগৃহে আসছে নতুন সিনেমা। আগামী দুই সপ্তাহে মুক্তি পাচ্ছে দুটি…
Exit mobile version