বাংলাদেশের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি হালকা নামতে শুরু করলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ। তাইতো তাদের পাশের দাঁড়ানোর মত মানুষের সংখ্যাও কমে যায়নি এখনও। বন্যার্তদের সহযোগীদের তালিকায় রয়েছেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ খ্যাত অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশও।
জানা গেছে, মানুষের বিপদে সবসময়ই পাশে থাকার চেষ্টা করেন পলাশ। তার একটি ফাউন্ডেশন রয়েছে। এ ফাউন্ডেশনটির নাম- ‘ডাকবাক্স’। যখনই মানুষের প্রয়োজন হয়, দেশের যে প্রান্তেই হোক না কেন, স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে তিনি সহযোগিতা করে থাকেন। এবারের ভয়াবহ বন্যাতেও পলাশের ডাকবক্স থেকে ২৭ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে যাচ্ছেন বন্যাদুর্গত এলাকায়।
বিষয়টি নিয়ে পলাশ জানান, ‘ত্রাণ হিসেবে সবাই শুকনো খাবার দিচ্ছে। আমি একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করে পাশে রয়েছি। একটি স্থানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে রান্না করে সেই খাবার আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছি বন্যার্তদের জন্য। হাজারের কাছাকাছি মানুষকে নিজেরা রান্না করে খাইয়েছি।’
এর আগে পলাশের ভলান্টিয়াররা ফেনীতে ছিল। ২৫ আগস্ট থেকে নোয়াখালীতে কাজ করছেন তারা।
বন্যা পরবর্তী কাজ নিয়ে অভিনেতা জানান, ‘বন্যা পরবর্তীতে পুনর্বাসনে সচেতন হওয়া জরুরি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর রোগবালাই বেশি ছড়ায়। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে নারী এবং শিশুরা। সে বিষয়েও আমি ভাবছি। বন্যা পরবর্তীতেও আমি এবং আমার টিম সক্রিয় থাকবো।’
নিজের ফাউন্ডেশন প্রসঙ্গে পলাশ বলেন, খুব বেশি মানুষ তার এই ‘ডাকবাক্স ফাউন্ডেশন’-এর কথা জানেন না। একারণে এখানে যা কার্যক্রম চলে তার ৮০ শতাংশ অর্থায়ন পলাশ নিজেই করে থাকেন। তবে পরিচিত কেউ যদি স্বেচ্ছায় ডোনেশন দিতে চান, স্বাচ্ছন্দে তা গ্রহণ করা হয় বলেও জানিয়েছেন অভিনেতা।
উল্লেখ্য যে, আকস্মিক বন্যায় ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট থেকে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলার মানুষের জীবন। ঘর-বাড়ি ও বসতভিটা হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন অনেকেই। বানভাসিদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, র্যাবসহ সরকারি বিভিন্ন সংগঠন। পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যে যার সামর্থ অনুযায়ী এগিয়ে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।