Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
বুধবার, নভেম্বর ৬, ২০২৪

ফেস অব এশিয়ায় জারিফ ও আকলিমার সাফল্য

জারিফ শাবাব ও আকলিমা আতিকা কণিকা (বাম থেকে) । ছবি: কোলাজ

ফেস অব এশিয়ায় সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলছে ফেস অব বাংলাদেশ জারিফ শাবাব ও আকলিমা আতিকা কণিকা। তাদের অর্জন ফ্যাশন ও মডেলিংয়ের বৈশ্বিক মঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী করছে।

৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল। ফেস অব এশিয়া, এশিয়া ওপেন কালেকশন, এশিয়া মডেল অ্যাওয়ার্ড- এই তিনটি অংশ থাকে এই ইভেন্টে। ফেস অব এশিয়ার অংশ হিসেবে চলতি বছরের জুন মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আর্কা ফ্যাশন উইকে ফেস অব বাংলাদেশ নির্বাচিত হন জারিফ শাবাব, আকলিমা আতিকা ও দিল আফরোজ হাসান।

২৭টি দেশের নির্বাচিত ৫০জন মডেল সুযোগ পেয়েছেন ফেস অব এশিয়ায়। এটি এ প্রতিযোগিতার ১৫তম আসর। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন জারিফ শাবাব ও আকলিমা আতিকা। তবে বাংলাদেশের জন্য সুখবর হচ্ছে ফেস অব এশিয়ার শীর্ষ১০ এ আছেন নবীন মডেল জারিফ শাবাব। ২৭টি দেশের মোট ৩৭ জন তরুণী আর ২৩ জন্য তরুণ মডেলদের মাঝে জারিফ শাবাবের শীর্ষ দশে অবস্থান নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

আজরা মাহমুদের সাথে জারিফ শাবাব ও আকলিমা আতিকা কণিকা । ছবি: ইভেন্ট

পাশাপাশি ‘ভোটিং রাউন্ড’-এ সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন জারিফ। আন্তর্জাতিক মডেলিং প্রতিযোগিতায় ভোটিং রাউন্ড বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশি জারিফ। আকলিমা কণিকা হয়েছেন তৃতীয়। আর নারী মডেলদের মধ্যে প্রথম।

মূল আয়োজনের পূর্বে দুই সপ্তাহের গ্রুমিং সেশনে তার সক্রিয় অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো। স্কিন কেয়ারের সুপরিচিত কোরিয়ান ব্র্যান্ড এক্সআইইএল জারিফের ডায়নামিক কনটেন্ট ফিচারের জন্য পছন্দ করে। এছাড়া এশিয়া ওপেন কালেকশনে  ডব্লিও হোমি, লাইন হোমি, এটুআর, ফোটন গার্মেন্ট-এর মতো টপ ডিজাইনারদের কাস্টের জন্যও নির্বাচিত হন তিনি।

পুরো ফেস্টিভ্যাল জুড়ে দারুণ সব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন শাবাব। বেশ কিছু প্রমোশনাল শ্যুট করেছেন সেখানে তিনি। আইকনিক হাই ওয়ান রিসোর্টসহ বেশ কিছু হাই প্রোফাইল ফটোশ্যুটে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি জারিফের প্রাপ্তির ঝুলিতে যোগ হয় ‘আমাঙ ম্যাগাজিন অ্যাম্বাসিডরশিপ’ পুরস্কার। এছাড়াও বিভিন্ন কোরিয়ান ব্র্যান্ডের সঙ্গেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। 

এদিকে আকলিমা আতিকা কণিকা স্পনসর অ্যাওয়ার্ড ‘ইউ অ্যান্ড আই’ জিতে পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ১০,০০,০০০ কোরিয়ান ওন। লাইন কালেকশন, ডাক ডাইভ, গ্রিডিলাস ও এভিটার রানওয়েতে তাঁর উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া।

সবমিলিয়ে বলা যায় এবছর এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের উপস্থিতি সাফল্যে পরিপূর্ণ ও ঐতিহাসিক। দুজন প্রতিনিধিই মর্যাদাপূর্ণ দুটি অ্যাওয়ার্ড নিয়ে আসছেন দেশে।

উল্লেখ্য, এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল আসলে তিনদিনের একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মডেলদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন। এখানে অংশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের মডেলরা তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারেন। এই ইভেন্ট প্রতিবছর দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই বৈশ্বিক সংস্কৃতি উৎসব এশিয়ার পপ সংস্কৃতি, শিল্প ও এশিয়ার মডেল, ফ্যাশন আর বিউটি ইন্ডাস্ট্রিকে এশিয়াব্যাপী প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এশিয়ার মডেল ও শিল্পীদের বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেয়।

Share this article
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Read next
0
Share