পুনরায় শুরু হতে যাচ্ছে ‘সেলিব্রিটি ক্রিকেট লীগ’। ১৫ থেকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে যেকোন একদিন বিতর্কিত এই অনুষ্ঠানটির বাকী ম্যাচগুলোর আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু কী কারণে বন্ধ হয়েছিল ‘সেলিব্রিটি ক্রিকেট লীগ’?
ওডিআই বিশ্বকাপে (ICC World Cup) বাংলাদেশ দলকে অনুপ্রাণিত করতে জি নেক্সট বাংলাদেশের বিনোদন জগতের তারকাদের নিয়ে একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করার দায়িত্বে ছিল ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের চ্যানেল টি স্পোর্টস।
টানা দুই সপ্তাহ অনুশীলন শেষে মিরপুর সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ২৮ সেপ্টেম্বর খেলা শুরু করে তারকাদের আটটি দল যাদের নেতৃত্বে ছিলেন যথাক্রমে গিয়াসউদ্দিন সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিহাব শাহীন, চয়নিকা চৌধুরী, দীপঙ্কর দীপন, সকাল আহমেদ, মোস্তফা কামাল রাজ ও রায়হান রাফী। প্রথম দিন ঠিকভাবে চলছিল তারকাদের এই টুর্নামেন্টটি। কিন্তু বাঁধ সাধে দ্বিতীয় দিনে।
২৯ সেপ্টেম্বর টস জিতে মাঠে নামে মোস্তফা কামাল রাজের দল ‘গিগাবাইট স্কোরারস’। রাত ১০ টার কিছুক্ষণ পর খেলা শুরু হলে ছয় ওভারে ১১৯ রান সংগ্রহ করে দলটি। দীপঙ্কর দীপনের দল ‘রানার ফাস্টিস’ দ্বিতীয় ইনিংসে ১১২ রান তুলতে সমর্থ হয়। কিন্তু ৭ রানেই হেরে যায় তারা। খেলার একটা পর্যায়ে রাত ১১ টার কিছুক্ষণ পরে উত্তজনার জের ধরে মারামারিতে নামে দুই পক্ষ।মুহূর্তের মধ্যেই ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির কারণে আহত হলে রাতের দিকে আগারগাঁওয়ের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশির সরদার, রাজ রিপা, জয় চৌধুরী, আতিকুর রহমান, শেখ শুভ ও আশিক জাহিদদের মত তারকাদের। ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনাটির পরেই টুর্নামেন্টটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনাটির জন্য দীপংকর দীপনের করা লিখিত অভিযোগকে সামনে রেখে আলোচনায় বসেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ ও ম্যাচ রেফারি। সভাটিতে ২৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনাটির উপর ‘গিগাবাইট স্কোরারস’ ও ‘রানার ফাস্টিস’ তাদের বক্তব্য উত্থাপন করে। একইদিন সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আয়োজক কর্তৃপক্ষ যেখানে ‘মারামারি’র ঘটনাটি সম্পর্কে কথা বলা হয় । ঘটনাটির সাথে জড়িত ৩-৫ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হলেও সংবাদ সম্মেলনটিতে বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
এই সময় দুই দলের অধিনায়ক মোস্তফা কামাল রাজ ও দীপঙ্কর দীপন ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনাটির জন্য গণমাধ্যমে নিজের খেদও প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনাটি নিয়ে কথা বলার পর ৩ অক্টোবর রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় একসাথে আলোচনায় বসেন টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া আট দলের অধিনায়ক। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ১৫ থেকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে একদিন বাকী ম্যাচগুলো আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তারিখ না জানা গেলেও গ্রুপ পর্যায়ের ৩টি, সেমিফাইনেলের ২টি এবং ফাইনালসহ মোট ৬টি ম্যাচ একদিনেই আয়োজন করার ইচ্ছা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
তবে পর্দার তারকাদের এই বিতর্কিত অনুষ্ঠানটিকে আবারও দেখার জন্য মুখিয়ে আছে অনুরাগীরা।