আবারও মামলার আসামি হলেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। তিনি ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও বেশ কয়েকজন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে হরিরামপুর থানায়।
মমতাজের বিরুদ্ধে নতুন এই মামলার আসামি সংখ্যা ৮৬ জন। ৪০ থেকে ৫০ জন অজ্ঞাত আসামির নামও আছে তালিকায়।
জানা গেছে, ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন দুলাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ফলে এ নিয়ে তিনটি মামলা হলো মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে।
এর আগে ৯ অক্টোবর গত ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিংগাইর থানা সদরে গোবিন্দল নতুন বাজারের কাছে হেফাজত ইসলামের হরতাল চলাকালীন সময়ে চার কর্মী হত্যার ঘটনায় মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গোবিন্দল গ্রামের নিহত নাসির উদ্দিনের ভাই সহিদুল ইসলাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। তারপর ২৫ অক্টোবর নিহত নাজিম উদ্দিনের পিতা মজনু মোল্লা সিংগাইর থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
নতুন করে ২৯ অক্টোবর আরও একটি মামলা দায়ের করা হলো। এ মামলায় ৩০ অক্টোবর ভোরে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের চার নেতাকর্মীকে।
গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার সবুজ (৫০), উপজেলার ছয়আনীগালা গ্রামের হারুন অর রশিদ (৫৬), কালই গ্রামের নিত্যসরকার (৪৫) ও মতিয়ার রহমান (৬০)। ইতিমধ্যেই তাদেরকে সোপর্দ করা হয়েছে আদালতে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩০মে সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা সদরে বয়ড়া গ্রামে সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত হারুণার রশীদ খান মুন্নুর মেয়ে ও জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানমের বাসায় দোয়া ওমিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সভায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বক্তব্য চলাকালীন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে হামলা করেন।
মমতাজের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুমিন খান।