গত দেড় দশক ধরে ছোট পর্দায় দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে চলছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। তারই ধারবাহিকতায় সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। অভিনয় করেছেন ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমায়। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন শঙ্খ দাশগুপ্ত। সিনেমাটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এ বছরের ২০ ডিসেম্বর। অবশ্য দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই দেশের বাইরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে এসেছে চলচ্চিত্রটি। সম্প্রতি, মিশনের কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৪৫তম আসরের ওয়ার্ল্ড সিনেমা বিভাগে অংশ নিয়েছে সিনেমাটি। যেখানে ‘প্রিয় মালতী’র নাম ছিল ‘হুইসপারস অফ এ থ্রাস্টি রিভার’।
এছাড়াও সিনেমাটি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল অব ইন্ডিয়ায় প্রদর্শীত হয়।
‘প্রিয় মালতী’ নিয়ে মেহজাবীন বলেন, মৌলিক গল্পভিত্তিক কাজ যাদের পছন্দ তাদের জন্যই ‘প্রিয় মালতী’ বিশেষ করে বানানো। এটি এই সময়ের সিনেমা। আমাদের আশেপাশের অসংখ্য মালতীর গল্প নিয়ে এই সিনেমা। আমাদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসের গল্প।
মেহজাবীন আরো বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে সিনেমার গল্পটা নতুন। গল্পটা এত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল যে ভাবলাম এটা নিয়ে কথা বলা উচিত, কাজ করা উচিত। আমাদের দৈন্যদিন জীবনের সিস্টেম্যাটিক সমস্যাগুলো এই সিনেমায় উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি অনেক মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে, শুধু অ্যাম্বুলেন্স হসপিটাল পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না বলে। আমরা এটাও দেখছি যে বিভিন্ন মার্কেটে আগুন লাগলে নির্বাপন ব্যবস্থা ঠিক থাকে না। ট্রাফিক সমস্যা পরে আমাদের মুল্যবান সময় হারিয়ে যাচ্ছে এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের গুরুত্ব নিয়ে বানানো ‘প্রিয় মালতী’ ।
এ ধরনের গল্পে আমাদের দেশে সাধারণত সিনেমা নির্মাণ হয় না। এই কারনেই সিনেমাটিতে কাজ করা। যেন সিনেমা দেখে মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আসে।’
এছাড়াও সিনেমা নিয়ে পরিচালক শঙ্খ দাশগুপ্ত বলেন, “আমার দর্শনের অনেক কিছুই এখানে প্রতিফলিত হয়েছে। এ সিনেমায় রাজনীতির প্রসঙ্গও আছে, তবে এটি প্রচলিত রাজনীতি নয়, কিছুটা অন্যরকম। আমি বিশ্বাস করি আর্ট রাজনীতির বাইরে নয়। যাপিত জীবনের গল্প আছে সিনেমায়, তাই দর্শকরা সহজেই কানেক্ট করেত পারবেন।”
প্রিয় মালতী নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত মেহজাবীন। আনন্দিতও অনেক কারণ ‘প্রিয় মালতী’ ইতোমধ্যেই জয় করে নিয়েছে দর্শক, সিনেমাবোদ্ধা, সিনেমা সমালোচকদের প্রশংসা। অনেকে খুশি হয়ে তাইতো মেহজাবীনকে ‘প্রিয় মালতী’ লেখা শাড়ি, শাল, টিপ এমনকি স্কেচ, পেইন্টিং পর্যন্তও উপহার দিচ্ছে।
তাই মেহজাবীন বলেন, ‘আমার মনে হয় এই জিনিসগুলো বানানো বেশ সময়ের ব্যাপার। অনেক বেশি ভালোবাসা জড়িত থাকলেই এটা সম্ভব। এগুলোকে গিফট না, আশীর্বাদ বলে মনে করি’।