প্রত্যাখান মানেই থেমে থাকা নয়। কারও কারও জন্য প্রত্যাখান মানেই আবার ঘুরে দাঁড়ানো। বাংলাদেশের দর্শকের কাছে জনপ্রিয় শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ থেকে পাওয়া গেছে এমনই ঘুরে দাঁড়ানোর অসংখ্য গল্প।
২০২৩ সালে শুরু হয় ইন্ডিয়ান আইডলের সিজন ফরটিন। বিচারক হিসেবে আছেন শ্রেয়া ঘোষাল, বিশাল এবং কুমার শানু। এর আগে বিচারক আসনে দেখা গেছে ফারাহ খান, অনু মালিক, সনু নিগমসহ অনেককেই। ছিলেন নেহা কাক্কারও।
নেহা কাক্কার বিচারক থাকার সময়ে একবার অতিথি হয়ে আসেন বলিউড তারকা আয়ুষ্মান খুরানা। প্রোগ্রামের আলাপের এক পর্যায়ে আয়ুষ্মান বলেন, নেহা কাক্কার এবং আয়ুষ্মান একই দিনে ইন্ডিয়ান আইডলের অডিশন দিতে আসেন একবার। একই সাথে রিজেক্টেড হন। একই সাথে ট্রেনে করে বোম্বে থেকে দিল্লী ফিরে যান। অভিনেতা আরও বলেন, আজ সেই মঞ্চে আমি অতিথি আর নেহা বিচারক!
আয়ুষ্মান অবশ্য ‘রোডিজ’ সিজন টু এর বিজয়ী। আর এখন? নেহা যেমন নামি-দামী গায়িকা, আয়ুষ্মান মানেই দারুণ গল্পের সব সিনেমা।
তেমনই একবার মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন কমেডিয়ান কপিল শর্মা। ‘কপিল শর্মা শো’ তে ইন্ডিয়ান আইডল ১৩ সিজনের বিচারক নেহা কাক্কার, হিমেশ রেশামিয়া এবং বিশাল আসেন নিজেদের শোয়ের প্রমোশন করতে। তখন কপিল বলেন, তিনি নিজেও একজন রিজেক্টেড প্রতিযোগী এই গানের শোয়ের। অথচ কি দারুণ ব্যাপার – আজ সেই শোয়ের বিচারকই তার নিজের শোতে অতিথি হিসেবে হাজির।
এরপর গল্প বলতেই হয় ‘চোর নিকালকে ভাগা’ সিনেমার ‘জানিয়ে’ গানের যে গায়ক – তার। সঙ্গীত পরিচালক বিশাল মিশরা, যিনি ইন্ডিয়ান আইডল ৪ ও ৬ – দুইবার চেষ্টা করেও লাইমলাইটে আসতে পারেননি। অবশেষে ‘ক্যায়সে হুয়া’ গানটি দিয়ে ছক্কা তো মেরেছেনই। তাকে মোটামুটি তুলনা করা হয় আরও দুই রিয়েলিটি শো থেকে রিজেক্ট হওয়া বর্তমানের সুপার স্টার অরিজিৎ সিং ও জুবিন নটিয়ালের সাথে। অরিজিৎ ছিলেন ‘ফেইম গুরুকুল’-এ। আর জুবিন ছিলেন ইন্ডিয়ান আইডলের আরেক রিজেক্টেড গায়ক। যিনি পরে অন্য শো দিয়েও নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করেন। আজ তিনি ‘তুঝে কিতনা চাহে অউর হাম’ এর মত গান দিয়ে বারংবার পরীক্ষিত।
আজকের গল্প শেষ হবে মোনালি ঠাকুরকে দিয়ে। এই শোয়েরই মঞ্চে দর্শকের কম ভোট পেয়ে বিদায় নেন ‘মোহ মোহকে ধাগে’র এই গায়িকা। কোটি কোটি শ্রোতার পছন্দের শিল্পী ‘জারা জারা টাচমি’ এবং ‘খোয়াব দেখে ঝুটেমুটে’ দিয়ে সাফল্যের রেসে পৌছে যান সামনের সারিতে। যে যাত্রা আছে এখনও অব্যাহত।
রিয়েলিটি শো দিয়ে বাজিমাত করেছেন এমন শিল্পীর সংখ্যা অসংখ্য। এই তালিকায় আছেন শ্রেয়া ঘোষালও।
এজন্যই বলা হয়- মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে।