টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল ১৭ অক্টোবর। কিন্ত তা পিছিয়ে ৫ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ- কনসার্ট না করে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার। সাংস্কৃতিক একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার কথা থাকলেও সেখানে উপস্থিত হননি গায়ক। ফলশ্রুতিতে চলতি বছরের ১৬ মে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। তিনি হলেন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রতিনিধি। বিদ্যালয়টির এই ব্যাচেরই প্রথম পুনর্মিলনীর আয়োজনে গান গাওয়ার কথা ছিল নোবেলের।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা ছিল, ২৫ মার্চ আসামি নোবেলের সাথে মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা ঠিক করেন বাদী। এরপর নোবেলকে নগদ ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হলে অনুষ্ঠানের পূর্বেই বাকি টাকা পরিশোধ করতে বলেন গায়ক। যার জন্য তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেন। পরবর্তীতে এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর সদস্যদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে ৩০ মার্চ ও ১৪ এপ্রিল সিটি ব্যাংক এটিএম বুথ শরীয়তপুর ব্রাঞ্চ থেকে গায়কের অ্যাকাউন্টে যথাক্রমে ৪৭ হাজার টাকা ও এক লাখ ১০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। টাকার অংকটি সর্বমোট দাঁড়ায় এক লাখ ৭২ হাজার টাকা। কিন্তু নোবেল অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত না হয়ে সেই টাকা প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
১৭ অক্টোবর এই মামলারই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক তা দাখিল করা হয়নি। এর ফলে প্রতিবেদন দাখিলের দিন পিছিয়ে ৫ ডিসেম্বর নিয়েছেন আদালত।