অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে বর্তমানে বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। পাশাপাশি চলছে দুর্নীতি ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ। এরই অংশ হিসেবে অনেকেই ফিরে পেয়েছেন কিছুটা স্বস্তি। এবার এমনই এক স্বস্তির অভিজ্ঞতা জানালেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
জুলাইয়ের আন্দোলনের কারণে দীর্ঘ একমাস বন্ধ থাকার পর ১৯ আগস্ট সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তাই সেবা নিতে সেখানে গিয়েছিলেন অমিতাভ রেজা। এরপর কোনো ভোগান্তি ছাড়াই বিআরটিএ থেকে সেবা নিতে পেরেছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে ১৯ আগস্ট নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করে অভিমত প্রকাশ করেন অমিতাভ রেজা। নির্মাতা লেখেন, ‘বিআরটিএ-তে গেলাম আজ। পাঁচ মিনিটে কাজটা হয়ে গেল। সবাই নিয়মমতো কাজ করছে মনে হল, দৃশ্যত কোনো দালাল জাতীয় মাল দেখা গেল না। ভালোই লাগল।’
বিআরটিএ-তে সেবাদাতাদের বিপরীত চিত্রও তুলে ধরে তিনি লিখেছেন, ‘কিন্তু সমস্যা হলো সবার মন খারাপ। কারণ হয়তো একটাই- তারা প্রতিদিনের যে উপরিটা পেত, যেটা দিয়ে বাজার করে নিয়ে যেত। পাঙ্গাশ মাছটা কিংবা ছেলের জন্য আইসক্রিম কেক, সেই কেকটা মনে হয় আপাতত হচ্ছে না। মানবিক মর্যাদা নিয়ে বাঁচার জন্য তাদের যে বেতন আর দ্রব্যমূল্য তার কোনো মিল নেই। মিল নেই ৫০০ কোটি ডলারের, হাজার কোটি টাকা লুটের।’
সবশেষে জনগণকে ট্রাফিক জ্যাম দেখে মন খারাপ না করার পরামর্শ দিয়েছেন অমিতাভ রেজা। বেশি জ্যামে পড়লে আয়নাঘরের বিবরণ শুনে মনকে নরম করতে বলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ১৮ জুলাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিআরটিএর কেন্দ্রীয় ডেটা সেন্টার। সেখানকার ভেহিকেল ইন্সপেকশন সেন্টার (ভিআইসি) পুড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেবাদান।