গত বছরের ৭ অক্টোবর, হামাসের হামলায় প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। তারপর থেকে প্রতিশোধমূলকভাবে ফিলিস্তিনিদের উপর গণহত্যা, জাতিগতনির্মুল থেমে নেই। ইসরাইলের এই বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে আওয়াজ তুলেছিলেন পশ্চিমা বিশ্বের অসংখ্য অভিনেতা, অভিনেত্রী, গায়ক, গায়িকাসহ অনেক তারকারা। জেনে নেয়া ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো এমন ২৩ জন পশ্চিমা তারকাদের।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তিনি একজন আমেরিকান অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং মানবতাবাদী। এই অভিনেত্রী ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের সাহায্য করার জন্য জাতিসংঘের সাথে কাজ করেছেন। তিনি একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট শেয়ার করে লিখেছেন, গাজার বেসামরিক জনগোষ্ঠীর উপর বোমা হামলায় নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, খাবার বা পানির ব্যবস্থা নেই, সরিয়ে নেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই এবং এমনকি সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নেওয়ার মৌলিক মানবাধিকারও নেই।” খাদ্য, জ্বালানি এবং পানির সাহায্যের অস্বীকৃতি সম্মিলিতভাবে একটি শাস্তি। বিশ্ব অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি দাবি করে। ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি জীবন – এবং বিশ্বব্যাপী সকল মানুষের জীবন – সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।”
রেনি র্যাপ। তিনি একজন আমেরিকান গায়িকা-গীতিকার এবং অভিনেত্রী। তিনি এক অনুষ্ঠানে বলেন, “আমরা খুবই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একটি কক্ষে আছি, খুবই সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা, যা রোমাঞ্চকর এবং এর অংশ হতে পারাটাও বিরাট সৌভাগ্যের। আমি এই সুযোগে সবার সামনে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে চাই।”
ম্যাকলমোর। তিনি একজন আমেরিকান র্যাপার। ওয়াশিংটনের সিয়াটলের বাসিন্দা। তিনি লিখেছেন, “আমি যেকোনো রূপেই ইহুদি-বিদ্বেষের নিন্দা জানাই। গাজায় বর্তমানে যে গণহত্যা এবং জাতিগত নির্মূল অভিযান চলছে তার বিরুদ্ধে আমার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করতেও আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বেলা হাদিদ। তিনি একজন আমেরিকান মডেল। হাদিদ আন্তর্জাতিক প্রচ্ছদ ভোগের মডেল। তিনি বলেন, আমি যা দেখতে পাচ্ছি, সেই বেদনায় আমার হৃদয় রক্তাক্ত হচ্ছে, আর সেই সাথে আমার ফিলিস্তিনিদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যে বেদনাদায়ক বেদনা তা অনুভব করছি। গাজায় বিমান হামলার পরিণতি দেখে, আমি সেই সকল মায়ের সাথে শোকাহত যারা সন্তান হারিয়েছেন এবং একা কাঁদছেন এমন শিশুদের সাথে, সেই সকল হারানো বাবা, ভাই, বোন, চাচা, মামী, বন্ধু যারা আর কখনও এই পৃথিবীতে পা রাখতে পারবে না।”
হোজিয়ার। তিনি একজন আইরিশ মিউজিসিয়ান। সঙ্গীত করেন মূলত লোক, আত্মা এবং নীল সঙ্গীত থেকে তৈরি, প্রায়শই ধর্মীয় এবং সাহিত্যিক থিম ব্যবহার করে এবং রাজনৈতিক বা সামাজিক ন্যায়বিচারের অবস্থান গ্রহণ করে।
কিড কুডি। তিনি একজন আমেরিকান র্যাপার, গায়ক, গীতিকার, রেকর্ড প্রযোজক, অভিনেতা এবং ফ্যাশন ডিজাইনার। তিনি বলেন, স্পষ্ট করে বলা যাক, ফিলিস্তিনিদের মুক্তিকে সমর্থন করা ইহুদি-বিদ্বেষী নয়, এটি মানবিক। ফিলিস্তিনিরা তাদের স্বাধীনতার যোগ্য। এটি রাজনীতি নয়, এটি বাস্তব জীবন।
নিকোলা কফলান। একজন অভিনেত্রী। তিনি লিখেছেন, “কেউ যেন – কোনও ব্যক্তি, কোনও সংবাদ সংস্থা, কোনও সরকার দ্বারা প্ররোচিত হয়ে না ভাবে যে মৌলিক মানবিক সহানুভূতি একটা বিতর্কিত বিষয়।”
আমেরি। তিনি একজন আমেরিকান গায়িকা, গীতিকার, অভিনেত্রী এবং লেখিকা। তিনি লিখেছেন, “কোনও শিশুকে কোনও কারণে হত্যা করা উচিত নয়। কখনও…।
এছাড়াও ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে নানা সময়ে কথা বলেছেন আমেরিকান স্ট্যান্ড-আপ কৌতুকাভিনেতা, চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক রামি ইউসুফ।
গায়িকা বিলি আইলিশ এবং তার ভাই ফিনিয়াস। মার্কিন মডেল জিজি হাদিদ। যার বাবা একজন প্যালেস্টিনীয়-মার্কিন নাগরিক। এছাড়াও আছে দ্য উইকেন্ড মিউজিক ব্যান্ড। চিলি এবং আমেরিকান অভিনেতা পেদ্রো পাস্কাল। আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক জেসি উইলিয়ামস। ব্রিটিশ অভিনেতা এবং কর্মী, খালিদ আবদাল্লা। ইংরেজ অভিনেত্রী লেনা হেডি। তিনি লিখেছিলেন “যথেষ্ট। যথেষ্ট আঘাত। যথেষ্ট মৃত শিশু। #ceasefirenow।”
এই তালিকায় আরো আছেন
আমেরিকান অভিনেত্রী সুসান সারানডন। মেক্সিকান অভিনেত্রী এবং গায়িকা মেলিসা ব্যারেরা। আমেরিকান অভিনেত্রী সারা রামিরেজ। যুদ্ধবিরতির পক্ষের শিল্পী অ্যানি লেনক্স। হলিউডের বিখ্যাত আমেরিকান অভিনেতা মার্ক রাফালো। আমেরিকান অভিনেত্রী এবং গায়িকা র্যাচেল জেগলার।
আমেরিকান গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে গঠিত আমেরিকান ইন্ডি রক সুপারগ্রুপ বয়জেনিয়াস।