বছরখানেক হলো বিচ্ছেদ হয়েছে আলোচিত- সমালোচিত জুটি শরিফুল রাজ ও পরীমণির। বিচ্ছেদের পর মুখ দেখা দেখিও বন্ধ ছিল তাদের। এমনকি একটি সাক্ষাৎকারে পরী বলেছিলেন, ‘রাজ আমার কাছে মৃ’ত’। এতদিন ছেলেকেও দেখার সুযোগ হয়নি রাজের, এমনটাই জানা ছিল। অথচ হঠাৎ করেই তাদের সম্পর্কের দৃশ্যপট যেন পাল্টাচ্ছে!
জানা গেছে, মাসখানেক হলো রাজ নাকি পরীমণির বাসায় যাতায়াত করছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরীমণি নিজেও। মুখ দেখাও যেখানে বন্ধ ছিল, সেখানে এমন কি হলো কে রাজ আবার পরীর বাসায় যাতায়াত শুরু করলেন?
ব্যাপারটি নিয়ে চিত্রনায়িকা জানান, ‘অন্য একটি বিষয়ের জন্য রাজ বাসায় এসেছিল। বিচ্ছেদ হওয়ার পর আমার সঙ্গে দেখা হয়নি। আমি দেখা করতেও চাইনি। বাসায়ও আসা মানা ছিল তার। কিন্তু হঠাৎ করেই কিছুদিন আগে আমার বাসায় এসেছিল।’
পরী যোগ করেন, ‘কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আমার বাসায় ছিল, এসে নিয়ে গেছে। বেশ অনেকক্ষণই ছিল। এলে তো আর বের করে দিতে পারি না।’
ছেলের সঙ্গে রাজের দেখা হওয়া প্রসঙ্গে পরী জানান, ‘হ্যাঁ, দেখা তো হবেই। তারও তো সন্তান পুণ্য। আমি রান্না করেছিলাম। সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেছি। এই আরকি।’
পরীর কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের জায়গাটা কিছুটা হলেও শীতল হয়েছে। তবে এই প্রসঙ্গে পরী বলেন, ‘শীতলের কী আছে। আর শীতল তো হতেই পারত, কিন্তু সেটি মেইনটেইন করেনি রাজ। ও বাচ্চাকে সময় দেয়নি। সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়নি। শখ করেও কোনও দিন সন্তানকে খেলনা পর্যন্ত কিনে দিতে দেখলাম না। আমার মনে হয়, সন্তানের মর্মই ও বোঝে না।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘কয়েক দিন তো দেখলাম। রাজ পুণ্যকে কোলে নিতে চাইলে ওভাবে রাজকে বাবা হিসেবে চিনতে পারে না এখন। অথচ আগে রাজ ছাড়া পুণ্য কিছুই বুঝত না। সব কথার শেষ কথা, রাজের সাফল্যেও আমার যায় আসে না, ব্যর্থতাতেও নয়। সে তো আমার জীবনে অতীত। সে এখন আমার কাছে ঘৃণার পাত্র।’
উল্লেখ্য যে, রাজ-পরীর নিজেদের সম্পর্ক যেমনই হোক, রাজকে নাকি সঠিকভাবে জীবনযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন পরীমণি। কেননা, সন্তানের বাবা হিসেবে রাজের কাজকর্মের প্রভাব তার সন্তানের ওপরই পড়বে।