ভারতের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এবার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
একটি ভিডিও বার্তায় মিঠুন জোর গলায় বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরে, অনেক জায়গায় একই কথা বলে এসেছি যে, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠবে। বাঙালি হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি।’
পাশাপাশি ভিক্টিমের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে ‘মহাগুরু’ বলেন, ‘ওর পরিবারের প্রতি আমার সম্পূর্ণ সহানুভূতি রইল। আর যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, যত দ্রুত সম্ভব তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই আমার কাছে সবথেকে বড় কাম্য।’
প্রসঙ্গত, ৮ আগস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন সেই নারী চিকিৎসক। পরদিন সকালে হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। মৌমিতার মৃত্যুটি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না। তাকে নির্মমভাবে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে এসেছে।
ফলে তদন্তে নামে পুলিশ। সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে মামলাকারীরা সকলেই পুলিশের ওপর আস্থা না রেখে তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি জানান। পরবর্তীতে মামলার দায়িত্ব আসে সিবিআই-য়ের কাঁধে। তবে তদন্তভার নেওয়ার কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও সিবিআই এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করেনি।
ফলশ্রুতিতে, ন্যায়বিচার ও নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করছেন অনেকেই। আমজনতা থেকে শিল্পী সমাজ, সকল শ্রেণি পেশার মানুষ রাজপথে নেমেছেন বিচারের দাবিতে। ইস্যুটি ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও।