একটি সেমিনার আয়োজনে সম্প্রতি বক্তব্য রাখেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ। তিনি বাংলাদেশি ফিল্প ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে নানা ধরনের কথা বলেন। কিছু পরামর্শও দেন। তবে পরিচালক কাজী হায়াৎ ও শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরের উপস্থিতিতে ক্ষোভও প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের মাঝেই এতো রেষারেষি, তা বন্ধ করতে হবে।
চলচ্চিত্রের লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আয়োজিত এই সেমিনারে বহুল আলোচিত অনুদান নিয়ে আলাপ শুরু করেন তিনি। আব্দুল আজিজ বলেন, ‘অনুদানের এই ধারাকে বন্ধ করে দিতে হবে। এই টাকা দিয়ে ছোট সাইজের অন্তত তিনটা সিনেপ্লেক্স করা সম্ভব, যা এই মুহুর্তে খুবই দরকার।’
অনুদান দেওয়ার ও পাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে দির্ঘদিনের সমালোচনাকে উল্লেখ করে তিনি এই মন্তব্য করেন। পাশাপাশি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে কার্যত শিল্প ঘোষণা করতে হবে বলে তিনি দাবী করেন।
আব্দুল আজিজ বলেন, ‘এখানে কোনও ব্যবসায়ী নেই। তারা থাকলে আরও ভালো করে বলতে পারতো। কাজী হায়াৎ, মিশা সওদাগরসহ যারা এখানে উপস্থিত তারা সবাই ক্রিয়েটিভ লোক। ব্যবসা হয়তো ওতো বোঝেন না। আমি বুঝি। তাই বলছি।’
নিজেদের অভ্যন্তরীণ রেষারেষিকে উল্লেখ করে জানান, বিগত সরকার শিল্প ঘোষণা করার পরেও, এটি আদতে শিল্প হিসেবে মূল্যায়িত করা হয় না। ফলে চলচ্চিত্রকেন্দ্রিক ট্যাক্স অনেক বেশি দিতে হয়। চলচ্চিত্র নিয়ে এতো কথা বা সেমিনার হলেও, এ নিয়ে আদতে কেউ দাবী তোলেননি বলেও মৃদু ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আব্দুল আজিজ আরও বলেন, ‘জয়েন্ট ভেঞ্চারের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে ফিল্মের লোকদের কারণেই। কিন্তু এটা একটা ভালো উদ্যোগ ছিল। আমি মনে করি, নিজেদের মধ্যকার জটিলতার কারণেই বাংলাদেশের সিনেমা খুব বেশি আগাতে পারেনি।’
ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি তিনি কিছু পরামর্শও দিয়েছেন। যেমন, প্রত্যেকটি জেলায় সিনেপ্লেক্স করার পরামর্শ তিনি দিয়েছেন। শিল্পকলা একাডেমিগুলোকে কী করে ব্যবহার করা যায়, থিয়েটারগুলোর বিস্তার কিভাবে ঘটনো যায়, তা নিয়ে বিস্তর আলাপ করেন প্রযোজক আব্দুল আজিজ।
টেলিভিশন এন্টারটেইনমেন্ট জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সংগঠনটির আয়োজনে এই বক্তব্য রাখেন তিনি।
উল্লেখ্য, আব্দুল আজিজের প্রতিষ্ঠান জাজের হাত ধরে রুপালি জগতে নাম লিখিয়েছেন মাহিয়া মাহি, নুসরাত ফারিয়া, বিপাশা কবির, জলি, ফারিন, পূজাসহ অনেকে। তাকে নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা ইন্ডাস্ট্রিতে আছে। তিনি মাঝে কিছুদিন পলাতকও ছিলেন বলে গুঞ্জনে জানা যায়।