চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কেউ রাশিয়ার পক্ষে, কেউ আবার ইউক্রেনের পক্ষে কথা বলেছে। বলিউড অভিনেতা জন আব্রাহাম সম্প্রতি তার নতুন সিনেমা ‘দ্যা ডিপ্লোম্যাট’ এর প্রচারে এসে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নানা কথা তুললেন এবং নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন।
গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে জন আব্রাহাম অভিনীত ও শিবম নায়ার পরিচালিত সিনেমা ‘দ্যা ডিপ্লোম্যাট’। সিনেমার প্রচারের সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জন বলেন, “এই যুদ্ধে আমি রাশিয়ার পক্ষে, কারণ আমি কোনো ধরনের যুদ্ধ চাই না। আমি চাই না রাশিয়া বা ইউক্রেনের কোনো মানুষ মারা যাক। তবে, আমি রাশিয়ার পক্ষে, কারণ তারা ৩০ বছর ধরে ন্যাটোকে আসতে নিষেধ করছিল, কিন্তু কেউ তা শুনেনি। এর ফলে রাশিয়া যুদ্ধের ঘোষণা করেছে।”
জন আব্রাহাম ভারতের ভূমিকাও প্রশংসা করেন এবং বলেন, “আমাদের দেশ রাশিয়ার তেল কিনবে কি কিনবে না, তা অন্য কেউ নির্ধারণ করতে পারে না। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর একজন অসাধারণ কূটনীতিবিদ।”
এছাড়া, অভিনেতা আরও বলেন, “অনেকে হয়তো বলবে, আমি একজন অভিনেতা, তাই এই বিষয়ে কথা বলা আমার সাজে না। আমি জানি আমি একজন সংখ্যালঘু। আমার মা একজন জরাথুস্ট্রিয়ান, এবং বাবা একজন সিরিয়ান ক্রিশ্চিয়ান। তবে আমি যেখানে নিরাপদ বোধ করি, সেটা আমার নিজের দেশে, আর কোনো জায়গায় কখনও তা অনুভব করিনি।”
এদিকে, আমেরিকার মধ্যস্থতায় দুই দেশ ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, কিন্তু ভবিষ্যতে এই যুদ্ধ আবার চলবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। রাশিয়ার তরফে যুদ্ধবিরতির জন্য কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে, যা মেনে নিতে রাজি নয় ইউক্রেন।
উল্লেখ্য, ‘দ্যা ডিপ্লোম্যাট’ সিনেমাটি ভারতীয় নাগরিক উজমা আহমেদের জীবন-অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। উজমা আহমেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী সাদিয়া খতিব। ২০১৭ সালে উজমা এক পাকিস্তানিকে বিয়ে করে পাকিস্তানে চলে যান, যেখানে তাকে অকথ্য অত্যাচারের শিকার হতে হয়। পরবর্তীতে তিনি ভারতে ফিরে এসে জানান, তাকে বন্দুকের মুখে বিয়ের জন্য জোর করা হয়েছিল।
এর আগে প্রায় এক মিনিটের টিজার প্রকাশ হয়। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাক্ষাৎকার দিয়ে যা শুরু হয়, যেখানে তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং হনুমানকে দুই সর্বশ্রেষ্ঠ কূটনীতিক হিসেবে উল্লেখ করেন।