দেশে থাকলে ভিক্ষা করে খেতে হতো বলে মন্তব্য করেছেন আহমেদ শরীফ
দেশের সিনেমা জগতের একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় ভিলেন ছিলেন অভিনেতা আহমেদ শরীফ। দেশে থাকলে ভিক্ষা করে খেতে হতো বলে মন্তব্য করেছেন আহমেদ শরীফ ; তার এই বক্তব্যে আলোচনার ঝড় উঠেছে ভক্ত-দর্শকের মাঝে, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। জনপ্রিয় ও শক্তিমান এই অভিনেতার কথার পরেই দেশের শোবিজ জগতের দৈন্য অবস্থা নিয়ে আলোচনা জেগে উঠেছে।
রবিবার ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর এফডিসিতে প্রয়াত শিল্পীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মত প্রকাশ করেন।
শুধু তাই নয়, আহমেদ শরীফ মনে করেন— এখন শিল্পীদের অনেকেই ঠিকমতো দুই বেলা খেতে পারে না।
অনেকটা চ্যালেঞ্জ করেই এ অভিনেতা বললেন, ‘চলচ্চিত্রে কজন মানুষ আছে যে নিশ্চিত করে বলবে তার দুই বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে? নেই, যদি মিথ্যা না বলি তাহলে নেই। মিথ্যা কথা নয়, সবাই বলছে শরীফ ভাই ঠিক জায়গায় আঘাত করেছে।’
বাংলাদেশে তিনি থাকলে কী পরিণতি হতো অনুমান করে আহমেদ শরীফ বলেন, ‘আজকে যদি আমি বাংলাদেশে থাকতাম, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আমাকে হাত পেতে লোকেদের কাছে ভিক্ষা করে খেতে হতো। বলতাম ভাই, আমার বাড়িতে খাবার নেই, বউ-বাচ্চাকে খাবার দিতে পারছি না, আমাকে টাকা দাও।
আহমেদ শরীফ যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন
আহমেদ শরীফ যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। মাঝেমধ্যেই দেশে আসেন। দেশের বাড়ি কুষ্টিয়ায় নিজ অর্থায়নে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন।
অনেক শিল্পীই বাধ্য হয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই খল অভিনেতা বলেন, আজকে আমি দেখছি অনেক শিল্পী দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে।
শুধু ফিল্মের নয়, টিভিরও অনেক শিল্পী চলে যাচ্ছে। কারণ দেশে আনন্দ বিনোদন কিংবা নিশ্চিন্ত থাকারও সুযোগ নেই। আমরা চাই দেশ ভালো করুক, মঙ্গল করুক।’
আগামী সরকারের কাছে শিল্পীদের জন্য নিশ্চিত জীবন ব্যবস্থা চাইবেন জানিয়ে আহমেদ শরীফ বলেন, ‘আমি আগামীতে যদি দেশে আসি সরকারের কাছে চাইব— শিল্পীদের নিশ্চিত ব্যবস্থা থাকতে হবে। শিল্পীরা নিশ্চিত ব্যবস্থা যেন পায় আমি সরকারের কাছে চাইব।
সর্বশেষ রাজকুমার চলচ্চিত্রে শাকিব খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন আহমেদ শরীফ। এরপর থেকেই আর কোন কাজে দেখা যায়নি তাকে।