১৯ অক্টোবর নিজ বাসা থেকে নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে শিল্পীর দাফন নিয়ে সৃষ্ট কিছু জটিলতায় এখনও মর্গেই রয়েছে তার দেহ।
পেশাদার সংগীতজীবনের শুরুতে বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মনি কিশোর। তাই ইসলামিক রীতি মেনেই তার দাফনের কথা জানিয়েছেন তার বড় ভাই । গণমাধ্যমকে আশোক কুমার বলেন, ‘মনি কিশোর বেঁচে থাকা অবস্থায় তার দাফনের বিষয়টি একমাত্র মেয়ে নিন্তি চৌধুরীকে জানিয়েছিলেন। আর সে আমাদের বলেছে, তার বাবাকে যেন দাফন করা হয়। এটা নাকি ওর বাবা ওকে বলে গিয়েছিল। মেয়েকে যেহেতু বলে গিয়েছে, তাই তার ইচ্ছামতো দাফনের কাজটাই করা হবে। এটা নিয়ে আমরা অন্য কোনো ধরনের সিদ্ধান্তে যাব না।’
কিন্তু মনি কিশোরের ধর্মান্তরিত হবার বিষয়টি প্রমাণ না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। অপেক্ষা করতে হচ্ছে শিল্পীর মেয়ে নিন্তি চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার।
মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা রামপুরা থানার উপপরিদর্শক খান আবদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আপাতত শিল্পীর মরদেহ মর্গে থাকবে। শিল্পীর মেয়ে দেশে ফিরলেই তার সিদ্ধান্তে যা হওয়ার হবে। অথবা দূতাবাসের মাধ্যমে কোনো চিঠি পাঠিয়ে যদি কাউকে দায়িত্ব দেন, তখনই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তা ছাড়া তিনি যে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, এ রকম প্রমাণাদি আমাদের সরবরাহ করতে পারলেও হয়। মনি কিশোর সাহেবের মেয়ে নিন্তি চৌধুরীর সঙ্গে আমাদের ওসি তদন্ত স্যারের কথা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, মনি কিশোর পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। রেডিও, টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তার সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’ তারই সুর করা, তারই লেখা। ২০টির মতো গান লিখেছেন ও সুর করেছেন মনি কিশোর।