১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে তোফাজ্জল নামে এক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে পুরো দেশ। পাশাপাশি এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশের শোবিজ অঙ্গনও।
২০ সেপ্টেম্বর ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিনেত্রী মৌসুমি হামিদ লেখেন, ‘আমি তোফাজ্জেল হত্যার বিচার চাই।‘ এর আগে আরেকটি পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘মুগ্ধ , আবু সাইদ সহ যত ভাই শহীদ হয়েছেন কারো রক্ত এখনও রাজ পথ থেকে শুকায় নাই । আপনারা আর ও একটা ভাতের হোটেল খুলে বসছেন ?যেখানে পেট চুক্তি ভাত খাওয়াইয়া মানুষ পিটায় মারেন!’
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে বলেছেন, ‘আমি আশা করছিলাম, এই নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে নতুন দায়িত্বের ব্যাপারটা আমরা উপলব্ধি করব। ১০০ জন মববাজি করতে এলে দুজন হলেও রুখে দাঁড়াবে! ঢাকা আর জাহাঙ্গীরনগরে কি এ রকম চারজন ছিল না, রুখে দাঁড়ানোর? এটা লজ্জার, বেদনার।’
নিজের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের সাথে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী প্রশ্ন করেছেন, ‘গণপিটুনিকে নরমালাইজ করা হচ্ছে কেন?’
সোশ্যাল মিডিয়ায় সবসময় সরব তারকাদের একজন নির্মতা আশফাক নিপুণ। তোফাজ্জল হত্যার ঘটনায় দীর্ঘ এক ফেসবুকে নির্মাতা লিখেছেন, ‘আমি শুধু সেইসব মায়েদের কথা ভাবি। যারা ৯ মাস গর্ভে ধারণ করা থেকে সন্তান জন্ম দিয়ে তার পুরোটা জীবন সেই সন্তানকে লালন পালন করে, বড় করে একদিন জানতে পারেন তার ছেলেকে বা মেয়েকে কেউ মেরে ফেলেছে। কি যায় তাদের ভেতর দিয়ে সেটা ভাবি। তল পাই না। অন্ধকার লাগে সব।’
অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এত কথার দরকার নাই, রাজশাহী, ঢাবি, জাবি, মব জাস্টিসের নাম ধরে যারা মব ভায়োলেন্স করেছে, তাদের বিচার চাই।’
সংগীতশিল্পী আহমেদ হাসান সানি প্রতিবাদ করেছেন অন্যভাবে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন তোফাজ্জল হত্যার কঠিনতম বিচার না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনও পারর্ফরম করবেন না।