স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দি দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুরের লাখ লাখ মানুষ। বিনোদন অঙ্গনের অনেকের পৈতৃক বাড়ি এসব এলাকায়। ভয়াবহ এই বন্যায় তারকাদের অনেকের বাড়িতেই ঢুকেছে বন্যার পানি, আবার অনেকের আত্মীয়স্বজনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যায়।
অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক মাহফুজ আহমেদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জে। এই বন্যায় গ্রামের বাড়ির ওঠানে এখন পানি। গণমাধ্যমকে অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘চৌমুহনী, নোয়াখালী, ফেনী, পরশুরাম, ছাগলাইয়ার দিকে যেভাবে পানির ঢল এসেছে, আমাদের এদিকটায় তা আসে নাই এখনো। তাই আমাদের ওদিকটায় বাড়িঘর ভেসে যায়নি। আমি না থাকলেও মা আর ভাই থাকে রামগঞ্জে। ধরতে গেলে আমার সব কিছুই ওখানে।’
ভারতের জি বাংলার রিয়েলিটি শো মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার্স দিয়ে পরিচিতি পান জামিল হোসেন। এর পর থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘সমতল থেকে উঁচু সিঁড়ি ছিল। তারপরও ঘরে পানি ঢুকেছে। কোমরসমান পানি। আজকে কিছুটা কমতেছে। আমার জন্মে এ রকম বন্যা দেখিনি। এবার আতঙ্কের মধ্যে আছি। আমার বোনের ছেলে ওখানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা ও বিভিন্ন জায়গা থেকে যারাই যাচ্ছেন, তাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে যাচ্ছেন।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা মালেক আফসারীর শ্বশুরবাড়ি চৌমুহনীর নর্দনপুরে। দোতলায় শ্বশুর-শাশুড়ি ও অন্য সবাই থাকেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘বাড়ির নিচ তলার খাট পর্যন্ত পানি। সবাই নিচতলা থেকে দোতলায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। গতকাল (২৪ আগস্ট) থেকে তাদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। শুনেছি, কারেন্ট নাই, তাই হয়তো মোবাইল চার্জ দিতেও পারছেন না।’
ফেনী শহরের নাজির রোডে রেলগেটের পাশে নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের বাড়ি। ওখানে ভাই ও তার পরিবার থাকে। মা ঢাকা আর ফেনী মিলিয়ে থাকেন, এবার বন্যা শুরুর কয়েক দিন আগে তিনি ঢাকায় এসেছেন। এই বন্যায় তাদের বাড়ির গ্যারেজে পানি ঢুকেছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা সেলিম।
গায়িকা পুতুল ঢাকায় থাকলেও মা, ভাই-বোন থাকেন ফেনী শহরের উকিলপাড়ায়। শহরের সেই বাড়িতে পানিবন্দী সবাই। গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) থেকে ভাই-বোনের খোঁজও পাচ্ছিলেন না পুতুল! পড়ে তার ভাই ও তার পরিবারের খোঁজ পেয়েছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিশ্চিত করেন গায়িকা। তবে তার পরিবারের কোনো খোঁজ এখনো পাননি পুতুল।