তিন দিন আগে মুক্তি পেয়েছে নাটক ‘মাটির মেয়ে’। গতকাল শনিবার থেকে নাটকটি রয়েছে ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ইউটিউবে নাটকটির ভিউ হয়েছে ৫৭ লাখের বেশি। মন্তব্য এসেছে সাড়ে পাঁচ হাজারের মত। আর্থিক সজীবের নির্মাণে এবং সংবেদনশীল গল্পে নাটকটি ইতিমধ্যে দর্শকহৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।
২৫ জুন প্রিয়ন্তী এইচডি নামের ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি মুক্তি পায়। এর পর থেকেই আলোচনায় রয়েছে নাটকটি। এই নাটকে অভিনয় করেছেন তামিম খন্দকার, শায়লা সাথী, ইন্তেখাব দিনার, সাবেরী আলম, আনোয়ার শাহী, সুচনা শিকদার প্রমুখ।
নাটকটি দেখে শাহজালাল নামের একজন লিখেছেন, নাটক টা অনেক সুন্দর হয়েছে, এই নাটকে বাস্তব কিছু চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যা অনেক মনোমুগ্ধকর, যেমন মা মেয়ের সম্পর্ক, আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এটাই সব পুরুষ এক হয় না, (মানিয়ে নিয়ে মেনে নাও, সুন্দর করে জীবন সাজাও) অনেক ধন্যবাদ পরিচালক কে সুন্দর নাটক উপহার দেওয়ার জন্য।
অন্য একজন দর্শক লিখেছেন, ‘আমি একজন মা। আমি সত্যিই নাটকটা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। আমি একমুহূর্তের জন্য কান্না থামাতে পারিনি। সত্যিই নাটকটার কোনো তুলনা নেই, অসাধারণ হয়েছে।’
জেসান নামের একজন লিখেছেন, ‘নাটকটা দারুণ হয়েছে, আবেগপ্রবণ গল্প। তামিম এতটা ভালো অভিনয় করেছে, শায়লা সাথীও। এই জুটির আরও নাটক চাই’। মো. সোহান লিখেছেন, ‘সব ছেলে এক না রে বোন। শেষে তো কান্না করে দিছি, এমন মানুষ যদি সব ঠকে যাওয়া নারীর জীবনে আসত।‘
হাসিনা আক্তার নামের আরেক দর্শক নাটকটি দেখে লিখেছেন, ‘কোনো দিন নাটক দেখে চোখে পানি আসেনি। প্রথমবার চোখ দিয়ে পানি চলে আসছে। আমার এমন দুটি মেয়ে আছে, কারও জীবনে এমন কষ্ট দিও না আল্লাহ’।
একজন সহজ–সরল মেয়ের জীবনচক্র, বাস্তব সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি আর মা ও মেয়ের যন্ত্রণা—সব মিলে দর্শকের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলবে এই নাটক—এমনটাই মনে করছেন পরিচালক আর্থিক সজীব। অন্য ধাঁচের গল্প হলেও চিত্রনাট্যে গতি এনে নির্মাণে আধুনিক ছোঁয়া আনা হয়েছে, যেন মানুষ ভাবনায় সহজে ডুব দেয়। সজীব বলেন, ‘এ নাটকটিতে আমি একজন সহজ–সরল মাটির মেয়ের জীবনের কষ্টগুলো তুলে ধরেছি। নাটকটিতে একাধিক মন্তাজের ব্যবহার করা হয়েছে, এটি একটি অফ ট্র্যাকের সিনেম্যাটিক গল্প। এই গল্পে শায়লা সাথী দারুণ অভিনয় করেছেন, “মাটির মেয়ে” মা ও মেয়ের ইমোশনাল বন্ডিং মানুষকে কাঁদাবে!’
নাটকটির প্রযোজক মনোয়ার পাঠান বলেন, ‘ভালো গল্প, ভালো নির্মাণ এবং অভিনয় ভালো হলে দর্শক নাটক দেখে। “মাটির মেয়ে” নাটকের দর্শকপ্রিয়তা এটিই প্রমাণ করে।’