সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সংগীতশিল্পী সুনিধি নায়েকের নতুন গান ‘পালাবে কোথায়’। গানটি দিয়ে ইতোমধ্যেই শ্রোতাদের কাছ থেকে বেশ প্রশংসা পাচ্ছেন সুনিধি। গানে পশ্চিমা ইলেকট্রনিক সঙ্গীতের বেশ নজরকাড়া উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। তবে গানটি মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্যই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই গায়িকা।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সুনিধি জানায়, ছয় বছর আগে গানটির পরিকল্পনা করেন তিনি কারণ তখন তার মানসিক স্বাস্থ্য বেশ ঝুকিতে ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক ডিপ্রেসড ছিলাম। আমার অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন ধরা পড়েছিল। চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার জন্যই গানটা করেছি।
গানটি তৈরি নিয়ে তিনি বলেন, ‘গত বছরের ডিসেম্বরে অডিও বানানো শুরু করেছিলাম। অডিও বানাতেই তিন মাস লেগে গেল। এরপর ভিডিওটার কাজ শুরু করি। মাস তিনেক আগে ভিডিওটা বানানো শেষ হয়ে গেছে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে ট্যুরে চলে যাই।
‘পালাবে কোথায়’ গানে পশ্চিমা ধাঁচের সংগীতের উপস্থিতি বেশ নজরকাড়া। কোন ভাবনা থেকে এটা করলেন জানতে চাইলে সুনিধি বলেন, ‘এখন ইলেকট্রনিক মিউজিকটা খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে জেন-জিরা ইলেকট্রনিক মিউজিকটা খুব বেশি পছন্দ করে এবং শোনে। আমিও ইলেকট্রনিক মিউজিক পছন্দ করি। ইলেকট্রনিক মিউজিকের প্রতি ঝোঁক অনেক আগে থেকেই ছিল। চাইছিলাম পপের সঙ্গে ইলেকট্রনিক মিউজিকের মেলবন্ধনটা করতে। তারপর এই মিউজিক ও সাউন্ডের আইডিয়াটা আসে। পরে গানটা করলাম।“
বিশেষ ভাবে জেন-জি শ্রোতাদের কথা মাথায় রাখার কারণ জানতে চাইলে এই গায়িকা বলেন, “এটা সব সময় আমার মাথায় থাকে। জেন-জিদের খুবই পছন্দ করি। ওদের ক্রিয়েটিভিটি (সৃষ্টিশীলতা), ওদের মিউজিক আমার অনেক পছন্দ। প্রতিটি প্রজন্মেরই কিছু খারাপ আছে, কিছু ভালো আছে। আমি ভালোটা নেওয়ার চেষ্টা করি। গান করার সময় ওদের কথা আলাদাভাবে মাথায় থাকে। রবীন্দ্রসংগীতও যদি করি, সেটা এমনভাবে করি যেন জেন-জিরাও শোনে। গানটা যেন মনোটোনাস (একঘেয়ে) না হয়ে যায়। নতুন কিছু যেন করা যায়। ওরাই আমাদের ফিউচার।“
টানা দুই মাসের যুক্তরাষ্ট্র ট্যুর শেষে সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরেছেন এই গায়িকা। টানা দুই মাসে ১০ থেকে ১২টার মতো শো করেছেন বলে জানিয়েছেন গায়িকা নিজেই।