জামদানি পরে রেড কার্পেটে হেঁটে সাড়া ফেলে দেন আজমেরি হক বাঁধন। রেহানা মারিয়াম নূর সিনেমার কান প্রদর্শনীতে বাংলাদেশকে নতুন করে যেন তিনি মুড়িয়ে নেন জামদানিতে। বাংলাদেশের ঐতিহ্য, বাংলার তাঁত, তাঁতীর হাতের যাদুতে মুগ্ধ গোটা দেশ তো বটেই, সারাবিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের অহঙ্কার।
তবে তা ছিল সাধারণত যেভাবে শাড়ি পরা হয় সেই রূপেই। ব্লাউজে ফিউশন করে সেই বারে বাঁধন সকলের চোখে পড়েন। এবার ভিন্নভাবে শাড়ি পরে আলোচনায় এলেন জয়া আহসান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ আয়োজনে ভিন্নভাবে জামদানি পরে পোস্ট করেন। আর বনে গেলেন খবরের শিরোনাম।
খানিকটা ধুঁতি স্টাইলে শাড়িটি পরেন তিনি। বোল্ডভাবে আঁচল পেঁচিয়ে আনেন গাউনের ভাব। সাথে মানানসই বেল্ট। তার এই শাড়ি পরার কায়দাটা অনেকেরই ভালো লাগছে না একদম। কেউ কেউ সোশাল মিডিয়াতে লিখছেন- জামদানীটা শাড়িই থাকুক। অদিকে জয়ার মতে, ভিন্নভাবে জামদানি পরা যায় সেটা জানাতেই তার এই লুক।
যদি্ও জামদানি নিয়ে এ বারই জয়ার প্রথম চমক দেখানো নয়। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের প্রথম গান তাঁতীতে জয়াকে গানে কণ্ঠ মেলাতে দেখা যায়। সেখানে তিনি পরেন জামদানি। সাথে সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরির জামদানি থিমের গহনা। এই গানে জয়া শ্রেফ মডেল নাকী গায়ক তা নিয়ে না না মত থাকলেও জয়া দাবী করেন বন্ধু সায়ান চৌধুরী অর্ণবের অনুরোধেই গানে কণ্ঠ মিলিয়েছিলেন তিনি। আর তার কণ্ঠও শোনা গেছে বলে দাবী করেছেন সংশ্লিষ্ট সকলে। কোক স্টুডিওর পক্ষ থেকে জানানো হয়, জয়াকে গানের দৃশ্যায়নে রাখার নেপথ্যে কারণ হিসেবে জানানো হয়, জামদানি শাড়িকে সারাবিশ্বে তুলে ধরছেন বাংলাদেশের দুইজন তারকা। বাঁধন ও জয়া আহসান এই জায়গা থেকেই জয়া আহসানকে যুক্ত করা তবে শর্ত ছিল উনি যদি থাকেন, তবে অবশ্যই গান গেয়েই থাকতে হবে, নতুবা নয়। গানটি মুক্তি পায় ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে।
এবারও জামদানি পরে আবারও সেই আলোচনা ও সমালোচনাতেই পরে গেলেন তিনি। জয়া- জামদানি আর সমালোচনা যেন একই সুত্রে গাঁথা। তবে বেলা শেষে তার স্টাইলিংয়ের প্রশংসাও করছে নেটিজেনরা। ছয় মাস ধরে বানানো এই শাড়ির সাথে তিনি একটি প্যাঁচওয়ার্কের জ্যাকেট পড়লেও তার বাদেই তাকে দেখতে লাগছিল ঠিক আলোকছটার মতন, বলাবলি করছেন দুই বাংলায় থাকা তার ভক্তরা।